সন্তান হলো বাবা মায়ের কাছে পৃথিবীর সব থেকে বড় সম্পদ। নিজেদের সুখ বিসর্জন দিয়ে সন্তানের সুখের জন্য তারা সবকিছু করেন। পৃথিবীতে এমন কোনো বাবা মা নেই যে তারা তাদের সন্তানকে ভালোবাসে না। সন্তান যদি কোনো বিপদে পড়ে তাহলে বাবা মাই সর্বপ্রথম এগিয়ে যান। সন্তানের বিপদের কথা শুনলে তারা এক সেকেন্ডও বসে থাকতে পারেন না। সম্প্রতি এক বাবা তার ছোট্র মেয়ের নিথর দেহ কাধেঁ নিয়ে হাঁটলেন ১০ কিলোমিটার পথ যেটা আসলে হৃদয়স্পর্শী।
সাত বছর বয়সী মেয়ে সুরেখা কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। উপায় না পেয়ে বাবা ঈশ্বর দাস ( God slave ) শুক্রবার ( Friday ) (২৫ মার্চ) মেয়েকে নিয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যান। কিন্তু তার কিছুক্ষণ পরেই সুরেখা চলে যায় না ফেরার দেশে। এরপর তার নিথর দেহ বাড়িতে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে না পেরে বাধ্য হয়েই মেয়ের সেই প্রাণহীন দেহ কাঁধে নিয়ে রওনা দেন বাবা। এমন একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ( India ) ছত্তিশগড়ের সুরগুজা জেলায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির ( NDTV ) তথ্যমতে, মেয়েটির অক্সিজেনের মাত্রা খুব কম ছিল। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করা হয়েছিল কিন্তু তার অবস্থার অবনতি হয় এবং শুক্রবার ( Friday ) (২৫ মার্চ) সকাল ( morning ) ৭টা ৩০ মিনিটে ( minutes ) প্রয়াত হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মেয়ের নিথর দেহ কাঁধে নিয়ে ১০ কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি পৌঁছেন ঈশ্বর দাস ( God slave )। তবে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবি, নিথর দেহ পাঠানোর ব্যবস্থা করার আগেই মেয়েকে নিয়ে চলে যায় পরিবার। এদিকে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাই’রাল হওয়ায় টনক নড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাবা মায়ের ঋণ কখনো শোধ হবার নয়। গায়ের চামড়া কেটে পাপোশ বানিয়ে দিলেও বাবা মায়ের ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না। সন্তান হারানোর কষ্ট পৃথিবীর কোনো বাবা মা সহ্য করতে পারেন না। একজন বাবার কাছে পৃথিবীর সব থেকে কষ্টকর কাজ হলো সন্তানের নিথর দেহ তার কাঁধে বহন করা আর সেইটাই করতে হলো এই বাবাকে। তার এই কষ্ট দেখে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার আকাশ বাতাস।