নাটোরের মুন্সীপাড়া ( Munshipara Natore ) উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ( Government Bangladesh ) বাল্যবিবাহ রোধে কাজ করে আসছে। অনেক বছর ধরেই বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে মানুষদেরকে সচেতন করা হচ্ছে। তার পরেও যেন প্রতিরোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠছে। বিষয়টি প্রতিরোধ করা না গেলে, হয়তো পূর্বের মতো আবারও মা ও শি’শু প্রয়াতের হার বৃদ্ধি পাবে। সম্প্রতি একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে আবারো কঠোর নজরদারি শুরু করতে হল প্রশাসনকে।
গতকাল শুক্রবার উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের মানিকপুর ( Manikpur ) গ্রামের শামসুল হকের ছেলে শাকিল আহমেদ ( Shakil Ahmed ) (১৮)কে একই এলাকার বাহিমলী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ( Abdul Quddus ) মেয়ে সুমি খাতুন (২৫) বিয়ে করার কথা ছিল। খবর পেয়ে ইউএনও বাহিমলী গ্রামে কনের বাড়িতে যান। কিন্তু তিনি আসার আগেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। পরে বাল্যবিবাহের দায়ে বরের চাচা মজিবর রহমানকে ( Mujibur Rahman ) তাৎক্ষণিকভাবে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে একই সময়ে উপজেলার মানিকপুর ( Manikpur ) গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে চাঁদনী খাতুনের (১৬) বাল্যবিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও মরিয়ম খাতুন ওই স্থানে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন। এ সময় কনের বাবা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েটিকে বিয়ে করবেন না বলে লিখিত মুচলেকা দেন। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। অন্য একটি ক্ষেত্রে, মেয়েটি একজন প্রাপ্তবয়স্ক ছিল কিন্তু বরের ও সরকার ( Government ) কর্তৃক নির্ধারিত বিয়ের বয়সে পৌঁছায়নি। এ কারণে বরের অভিভাবক হিসেবে তার চাচাকে জরিমানা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, নাটোরের বড়াইগ্রামের মানিকপুর ( Manikpur )ের মুন্সীপাড়া উপজেলায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে চাঁদনী খাতুন নামে ১৬ বছরের এক কিশোরী বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। অপরদিকে, বাল্যবিবাহে সরকার ( Government )ি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় উপজেলার বাহিমলী গ্রামে নাবালক বরের চাচাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শুক্রবার বিকেলে ( Friday afternoon ) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মরিয়ম খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাবিবা খাতুন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, দেশে আইনের উর্ধ্বে কেউ নয়। তিনি যেই হোন না কেন? সরকার ( Government )ি আইন ও আদেশ অমান্য করার মত এমন দুঃসাহসিক কাজ যারা করবেন, আমরা প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিবো। বিষয়টি যদি চরম পর্যায়ে প্রতিফলিত হয়, তাহলে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এরকম ব্যাপার শোনা ও দেখা মাত্রই উপজেলা অফিস অথবা থানায় জানানোর জন্য।