প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা তরুনীকে ফিরে যেতে হলো নিজ দেশে

ভালবাসার টানে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছুটে আসার ঘটনা অহরহ ঘটছে, যেটা সংবাদ মাধ্যমে প্রায় উঠে আসতে দেখা যায়। বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ময়মনসিংহের ছেলের প্রেমের টানে ভারতে ( India )র নদীয়া জেলার নাগরিক মুনিরা খাতুন বাংলাদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন। অবৈদ্ধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময়ে মনিরা খাতুনকে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) সিমান্ত বাহিনী (বিজিবি ( BGB )) আটক করেন।

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ( Philosophy ) জয়নগর চেকপোস্ট দিয়ে মনিরা খাতুন নামে এক তরুণীকে ভারতে ( India ) পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ( Thursday ) (২৪ মার্চ ) দুপুর ১টার  দিকে দর্শনা ( Philosophy ) ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে তার পরিবারের উপস্থিতিতে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে ভারতীয় পুলিশের ( police ) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর ( Maheshpur ) সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) ময়মনসিংহ জেলার ছেলের প্রেমের টানে আসা মনির খাতুন করে আটক করে বিজিবি ( BGB )।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর ( December ) সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর ( Maheshpur ) উপজেলার মাটিলা ( Matila ) সীমান্তে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের অভিযোগে মনিরা খাতুনকে আটক করে বিজিবি ( BGB )। সে নদীয়া জেলার ধনতলা থানার চাঁদপুর গ্রামের আইয়ুব আলী বিশ্বাসের ( Ayub Ali believes ) মেয়ে। পরে তাকে ঝিনাইদহ মহিলা ( Jhenaidah woman ) ও শি/শু আদালতের বিচারক তিন মাসের রিমা”ন্ডে নেন। আইনি জটিলতায় তিনি দীর্ঘদিন আটক ছিলেন।

বাংলাদেশের ( Bangladesh ) পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা চেকপোস্টের ইনচার্জ এসআই এসএম আব্দুল আলিম ( SM Abdul Alim ), দর্শনা ( Philosophy ) থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস ( Pure faith ), দর্শনা  বিজিবি ( BGB ) চেকপোস্টের নায়েব সুবেদার আলাউদ্দিন ( Subedar Alauddin ) ও মানবাধিকার কর্মী আতিয়ার রহমান।

ভারতে ( India )র প্রতিনিধিত্ব করেন নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর বাবিন মুখার্জি ( Babin Mukherjee ), গেদে চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন অফিসার ইন্সপেক্টর সন্দীপ তিওয়ারি, গেদে আইসিপির ( ICP ) কোম্পানি কমান্ডার সুনীল পায়েল ( Sunil Payal ), কৃষ্ণগঞ্জের ( Krishnaganj ) ডিআইও স্বাধীন মন্ডল এবং মানবাধিকার কর্মী চিত্ত রঞ্জন  দে।

প্রসঙ্গত, অবশেষে নিজ দেশে ফিরলেন মনিরা খাতুন পরিবারের সঙ্গে সকল জটিলতা কাটিয়ে। বিষয়টি নিয়ে দেশের মানুষ সন্তুটি প্রকাশ করেছে। ভালবাসার টানে মানুষ যে কত কঠিন সমস্যার জড়িয়ে পড়তে পারে মুনিরা খাতুনের ( Munira Khatun ) বিষয়টির মাধ্যমে অনুভব করা যায়। তবে অবৈদ্ধভাবে পন্থায় অবলম্বন কর ঠিক না বলে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিদের মন্তব্য।