Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / তরুনীর সাথে সংঘবদ্ধ খারাপ কাজের পর, ফের হাসপাতালেও খারাপ কাজ

তরুনীর সাথে সংঘবদ্ধ খারাপ কাজের পর, ফের হাসপাতালেও খারাপ কাজ

সম্প্রতি, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্কুলছাত্রীকে জোর করে খারাপ কাজ করে কয়েকজন বখাটে। পাশবিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার পরেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করে পুনরায় আবার তাকে সেখানেও খারাপ কাজ করে। ব্যাপারটি সে যেন কাউকে না বলে সেজন্য তাকে ভয় দেখানো হয়। এক পর্যায়ে ওই ঘটনার পরেও তার সঙ্গে পুনরায় একই কাজ করেন তিন যুবক। তারপরে বিষয়টি পরিবারের নজরে আসে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া  উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে সংঘবদ্ধভাবে খারাপ কাজের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় হাসপাতালে আবারও তাদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ৩ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ( police ) মঙ্গলবার ( Tuesday ) (২২ মার্চ ) রাতে কলাপাড়া ( Kalapara ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম ( Md. Jasim ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুরে কলাপাড়া ( Kalapara ) পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন, গ্রেফতারকৃতরা হলেন গোপাল চন্দ্র ( Gopal Chandra ) মিস্ত্রী (২২), মাসুম (২৩), শাকিল ( Shakil )(২৫)। এরা সবাই কলাপাতা পুরাসার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ( February morning ) তিনি কলাপাড়া ( Kalapara ) হাসপাতালে আসেন ভ্যাকসিন নিতে। এ সময় মাসুমের ( Masum ) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ৮ মার্চ ( March ) বিকেলে মাসুম তাকে কৌশলে বাড়ি থেকে বের করে টিয়াখালী ( Tiakhali ) ইউনিয়নের ইটবাড়িয়া  গ্রামে নিয়ে যায়। এ সময় তারা এলাকায় ঘুরে বেড়ান। পরে রাত সাড়ে ৯টার ( ৯টার ) দিকে শাকিল ( Shakil ) তাকে নিয়ে গ্রামের একটি তালগাছের নিচে খারাপ কাজ করে। ভিকটিম অসুস্থ বোধ করলে তারা তাকে কলাপাড়া ( Kalapara ) হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে রাতে আবারও একই কাজের শিকার হন। এ সময় ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে ফেলে রাখা হয়। পরে গত ৯ মার্চ  তল্লাশির একপর্যায়ে তাকে কলাপাড়া ( Kalapara ) হাসপাতালের সামনে পাওয়া যায়।

মামলায় আরও বলা হয়, ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য ভয় দেখানো হয়। এ কারণে মেয়েটি তার পরিবারকে কিছুই জানায়নি। ১১ মার্চ ( March ) দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মেয়েটি। পথে মাসুম, শাকিল ও গোপাল তাকে উপজেলার পাখিমারা এলাকায় নিয়ে যায়। পরে মাসুম তাকে বিভিন্ন স্থানে রেখে একাধিকবার খারাপ কাজ করে। এদিকে ভিকটিমের পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে সোমবার ( Monday ) (২১ মার্চ ( March )) কলাপাড়া ( Kalapara ) থানায় খবর দেয়। পরে রাতেই পৌর শহরের রহমতপুর ( Rahmatpur ) এলাকা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। ( police ) কলাপাড়া ( Kalapara ) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম ( Md. Jasim ) জানান, ঐ তরুনী এখন সুস্থ। তাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে ( Patuakhali Hospital ) পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জেল হা’জতে প্রেরণ করা হয়েছে।

কলাপাড়া ( Kalapara ) থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে চালান দেওয়ার পর, আদালত তাদেরকে হাজ’তে প্রেরণ করেছেন। ভিকটিম এখন হাসপাতালে রয়েছেন। ভিকটিমের শারীরিক রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত, এখনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। যে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটা অনেক খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে মেয়েটির জন্য। রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই আমরা বিষয়টি আদালতে প্রেরণ করব।

About bisso Jit

Check Also

জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আ.লীগ: বাহাউদ্দিন নাছিম

বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। ৫ আগস্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *