গত কয়েকদিন আগে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহারের একটি ফোনালাপ প্রকাশ পায়। সেই ফোনালাপ প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। এ নিয়ে নানা রকম আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এমনকি অনেকে তার ক্ষমতা নিয়েও নানা রকম প্রশ্ন তোলেন। অবশেষে সেই আলোচিত ফোনালাপ নিয়ে মুখ খুললেন অধ্যক্ষ কামরুন নাহার। তিনি গণমাধ্যমের বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দেন। এছাড়া তিনি বলেন সেই ফোনালাপ সঠিক নয়।
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহারের সঙ্গে এক অভিভাবকের ফোনালাপের অডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ওই ফোনালাপের কথোপকথন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝ’ড় বইছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার বলেন, ভিকারুন্নিসায় যোগ দেওয়ার পর থেকে অভিভাবক ফোরামের কয়েকজন অবৈধ সুবিধা দাবি করে আসছে। তাদের কথা না শুনলে আমি এখানে থাকতে পারবো না বলেও হু’ম’কি দেওয়া হয়। সেই থেকে দুইবার আমার অফিস রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। রুমে প্রবেশ করে টেবিল চাপড়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। আমার বাড়ির দরজা এবং অফিসের দরজা ধা’ক্কা’ধা’ক্কি করা হয়েছে।
কামরুন্নাহার দাবি করেন, চলতি বছর প্রথম শ্রেণিতে প্রায় দেড়শ’ সিট খালি আছে। মূলত সেগুলোতে অবৈধ ভর্তি বাণিজ্য করতে কয়েক অভিভাবক ও প্রতিনিধি আমাকে চাপ দিচ্ছেন। তাদের কথা না রাখায় আজকে তিনি বিপাকে। এমনকি পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, ফোনালাপ বিকৃত ও এডিট করে আংশিক প্রকাশ করা হয়েছে। ফোনালাপে তাকে বাজে ভাষায় কথা বলা হয়েছে, যেটা প্রকাশ পায়নি।
প্রসঙ্গত, অধ্যাপক কামরুন নাহার এর আগে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর দুয়ারীপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর তাকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার।
এদিকে, নেটিজেনরা এখনো প্রশ্ন তুলছেন দেশের স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হয়ে তিনি কিভাবে এমন ভাবে কথা বলেন। তবে এই অধ্যক্ষ বললেন সেই ফোনালাপ সব সঠিক নয়। ওই ফোনালাপ এডিট করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে ইতিমধ্যে সেই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে সেই ফোনালাপ নিয়ে মন্তব্যও করছেন।