র্যাব হলো জনসাধারনের ভরসা ও বিশ্বস্ততার একটি নাম। র্যাবের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অন্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর থেকে কিছুটা হলেও বেশি। র্যাব অন্যায়কারীদের নিকট একটি ভী’/তিপ্রদ নাম। র্যাব অন্যায় প্রতিরোধে বদ্ধপরিকর। তারা হলেন অকুতোভয় সৈ”/নিক। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা তাদের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য সততার সহিত পালন করে থাকেন। অন্যায় নির্মূলে র্যাবের ভুমিকা সত্যি অপরিসীম। র্যাবের ( RAB ) আবির্ভাব হবার পরে দেশে অন্যায়ের পরিমান অনেকাংশে কমে গিয়েছে। এদেশের মানুষের জন্য র্যাব আশীর্বাদ সরূপ উদয় হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার পর তিন মাসে র্যাবের ভূমিকার উন্নতি হয়েছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র ( United States )। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি জটিল ও কঠিন। যুক্তরাষ্ট্র ( United States )ের পররাষ্ট্র দপ্তরের রাজনৈতিকবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড গতকাল রবিবার দুপুরে ( Sunday afternoon ) ঢাকায় ( Dhaka ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। এর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের নেতৃত্বে অষ্টম অংশীদারি সংলাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র ( United States )।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ( Masood bin Momen ) বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ। র্যাবের ভূমিকা ও র্যাব নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা বিষয়ে একটি ‘নন পেপার ডোসিয়ার’ যুক্তরাষ্ট্র ( United States )ের প্রতিনিধিদলকে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ আশা করছে, যুক্তরাষ্ট্র ( United States ) এ বিষয়টি দেখবে। ভবিষ্যতে এ বিষয়েও আলোচনা হবে এবং তার সূত্র ধরে বিষয়টির সুরাহা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতা ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান ও যু”/দ্ধকে গণতন্ত্র ও স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে যু’/দ্ধ হিসেবে তুলনা করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যে সমাজ গড়ে তুলতে চায় তার বিপরীত যে চিত্র তাই আজকের রাশিয়া। তিনি ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে চেয়েছেন।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে সাম”রিক ও নিরাপত্তা সম্পর্কিত তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষাবিষয়ক ‘জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্টের (জিসোমিয়া চুক্তি)’ খসড়া হস্তান্তর করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, ‘এ চুক্তিটি নিরাপত্তা খাতে সহযোগিতার কাঠামো চুক্তি। আমরা নিশ্চিত যে এ বিষয়টি সুরাহা করতে পারব। এর ফলে আমরা নিরাপত্তা খাতে একযোগে আরো কাজ করতে পারব। ’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ তার সশ’/স্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক করতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অ’/স্ত্র কিনতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আগে জিসোমিয়া চুক্তি সইয়ের আহ্বান জানিয়েছে। কারণ স্পর্শকাতর তথ্যে নিরাপত্তার জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
র্যাব নিয়ে যা বলল দুই পক্ষ
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডকে পাশে রেখেই র্যাব এবং এর সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ জানানোর কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা স’ন্ত্রা/’স ও আন্তর্দেশীয় অপরাধ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কী প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাখ্যা করেছে।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, ‘র্যাবের কর্মকাণ্ড, বিচারবহির্ভূত হ’/’ত্যা, গু’/ম—এসব নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা আপনারা (সাংবাদিকরা) জানেন। এ সমস্যাগুলো সমাধানের ক্ষেত্রে গত তিন মাসে আমরা অগ্রগতি দেখেছি। ’
আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব (মাসুদ বিন মোমেন) যা বলেছেন তা আমি আপনাদের বলতে পারি। এসব বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ছাড় না দেওয়ার নীতি আছে। আপনারা (বাংলাদেশ) জবাবদিহি, ন্যায়বিচার নিয়ে এখন কাজ করছেন। ’
ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেন, ‘আমরা সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কিত কিছু তথ্য-উপাত্ত পেয়েছি। আমরা একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। কারণ আমাদের নিরাপত্তা ও স’ন্ত্রা/’স দমনে সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ’
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে প্রশ্ন উঠেছিল, যুক্তরাষ্ট্র যখন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের কথা বলছে, তখন এ দেশের একটি বাহি’নীর ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন দিচ্ছে? জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডারসেক্রেটারি বলেন, ‘মানবাধিকার ও মৌলিক আইনগুলোর লঙ্ঘন দেখলে যুক্তরাষ্ট্র কখনো নীরব থাকবে না। আমরা এ বিষয়ে কথা বলেছি এবং তা অব্যাহত রাখব। কারণ স’/ন্ত্রা’স মোকাবেলা ও আইন প্রয়োগ খাতে আমাদের অব্যাহত সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। ’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনায় সম্পৃক্ত থাকতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের এ অবস্থানের প্রশংসা করেছে এবং আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা (জিএসপি), শ্রম ও মানবাধিকার সম্পর্কিত অন্য ইস্যুগুলো নিয়েও আলোচনা করেছে। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু হ’/’ত্যার দায়ে দণ্ডিত রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর দাবি আবারও তুলেছে বাংলাদেশ।
র্যাব মানুষের সর্বান্ত উপকার সাধনের জন্য গঠন করা হয়েছে যার একমাত্র লক্ষই হলো সন্ত্রা’/সবাদকে নির্মূল করা। যত বড়ই স’/ন্ত্রা’সী হোক না কেনো র্যাব তাদেরকে নির্মূলে পিছপা হয়না। তাদের এই অসীম সাহসীকতা কোটি কোটি প্রশংসা অর্জন করেছে। তারা যেকোনো সমস্যা সামাধানে সদা প্রস্তুত। র্যাবের কাছে এ দেশের মানুষ আস্থা পাবে এটাই সাধারন মানুষের প্রত্যাশা।