হাসপাতালে ভর্তি শাকিবের পুরো পরিবার। তার তিন সন্তান, মা শিরিন আক্তার ( Shirin Akhter ) ও শাশুড়ি হাসপাতালের বিছানায়। মা ও শাশুড়ির অবস্থা আশংকাজনক হলেও সন্তানেরা ভালো আছেন বলে জানা সামাজিক গনমাধ্যেমে জানা গেছে। সাকিবের মা শিরিন আক্তার ( Shirin Akhter ) আগে থেকেই হার্টের রোগী। শাকিবের মা অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সাকিবের বর্তমান সংকটময় অবস্থার মোকাবেলার জন্য বিসিবি তার পাশে আছে বলে সামাজিক গনমাধ্যেমে জানিয়েছে বিসিবি নির্বাচক হাবিবুল বাশার।
সাকিব আল হাসান যখন দক্ষিণ ( South ) আফ্রিকায় সিরিজ খেলছিলেন, তখন তার পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঢাকায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সাকিবের মা শিরিন আক্তার ( Shirin Akhter ) ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নিউমোনিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সাকিবের দুই মেয়ে ও ছেলে। এছাড়া শাকিবের শাশুড়ি ক্যা”ন্সারে আক্রান্ত হয়ে সিএমএইচে ভর্তি রয়েছেন। স্বভাবতই এমন খবরে বিক্ষিপ্ত হয়েছেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। দেশে ফেরার কথা ভাবছেন তিনি। তবে সাকিব এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবির ( BCB ) নির্বাচক ও দক্ষিণ ( South ) আফ্রিকায় দলের সঙ্গে থাকা সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার।
হাবিবুল বাশার বলেন, সাকিব এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। সোমবার সকালে ( Monday morning ) (বাংলাদেশ ( Bangladesh ) সময় দুপুরে ( noon )) সেখানকার পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত জানাবেন সাকিব। ঢাকায় নিয়মিত খবর রাখছেন। ঢাকার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে তিনি দেশে ফিরবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রয়োজন মনে হলে ফিরে যাবে। পারিবারিক জরুরী পরিস্থিতিতে বিসিবি সব সময় ক্রিকেটারদের পাশে থাকে। সেখানে কতটা সুস্থ হয়েছেন তা জানবেন, তারপর আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, সাকিব আল হাসানের ( Shakib Al Hasan ) পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে তিন সন্তানসহ মা ও শাশুড়ি একই সাথে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে দক্ষিণ ( South ) আফ্রিকায় রয়েছেন সাকিব। রোববার ( Sunday ) তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এখনো একটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট বাকি। পারিবারিক এই সংকটের সময়ে দক্ষিণ ( South ) আফ্রিকা থেকে ফিরবেন নাকি জাতীয় দলে খেলা চালিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি সাকিব।