কোনো কাজকেই আমাদের ছোটো করে দেখা উচিত নয়। মানুষ যে কাজই করুক না কেনো তাকে সবারই যথাযথ সম্মান দিয়ে উৎসাহিত করা উচিৎ। যতই আমরা কাজকে ছোটো করে দেখি না কাজকে কাজের মূল্য দেওয়াটাই মানবতার বহি:প্রকাশ। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা জানা গেছে যে, নিউইয়র্কের ( New York ) ভৌমিক নামের এক প্রবাসী যিনি নিউইয়র্কের ( New York ) পুলিশ ( police ) বিভাগের সার্জেন্ট পদে কর্মরত আছেন।
তিনি বাংলাদেশের ( Bangladesh ) একটি ‘পাশা’ শিরোনামের ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করেছেন। এই ফিল্মের জন্য তাকে ঢাকা শহরে সিএনজি চালাতে হয় যেটা একটি ভিন্ন বিষয়। এই সিনেমায় বাংলাদেশের ( Bangladesh ) অনেক গুণি অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা অভিনয় করেছেন।
নিউইয়র্ক প্রবাসী কবি রাজুব ভৌমিক, সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পাঠদান করেন। সাহিত্য জগতের পর এবার অভিনয়ে অভিষেক হতে যাচ্ছে তার। সম্প্রতি ‘পাশা’ শিরোনামের একটি ওয়েব ফিল্মের শুটিং শেষ করেছেন। চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে ডিসনি-হটস্টার প্লাটফর্মে ‘পাশা’ মুক্তি পাবে।
তানিম আহমেদের পরিচালনায় পাশার ( Pasha ) মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজুব ভৌমিক। ( Rajub Bhowmik. ) এ ছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন সরফ আহমেদ ( Saraf Ahmed ) জীবন, ডন, জান্নাতুন নূর ( Jannatun Noor ) মুন, মৌমিতা মৌ ( Moumita Mau ), ইকবাল ( Iqbal ), হিমেলসহ ( Himel ) অনেকেই।
রাজুব ভৌমিক বলেন, ‘পাশার ডুয়েল পার্সোনালিটি এবং দুটো চরিত্রই ভিন্ন ধরনের। এই চরিত্রের জন্য আমাকে ঢাকার রাস্তায় সিএনজি চালানো শিখতে হয়েছে। পুরো প্রজেক্টিই চ্যালেঞ্জিং ছিল। তবে আমি বেশ উপভোগ করেছি। আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার সব কো-আর্টিষ্টরা আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। আশা করি দর্শকের ভাল লাগবে।’
পরিচালক তানিম আহমেদ বলেন, ‘পাশা’য় দর্শকের জন্য বেশ কয়েকটা চমক আছে। সবাই অসাধারণ অভিনয় করেছে, গল্পটাও অসাধারণ। রাজুব দাদাকে এবার দর্শকরা নতুনভাবে দেখতে পাবে। এ ছাড়াও এই ফিল্মে সোনু কাক্কারের কণ্ঠে একটি অসাধারণ গান দর্শকেরা শুনতে ও দেখতে পারবেন।’
প্রসঙ্গত, আয়না সনেট এবং আয়না সংগীতের জনক রাজুব ভৌমিক। বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় সংকলন আয়না সনেট থেকে পরিবর্তিত আয়না সংগীত গানের প্রতিটি লাইন দশ বর্ণের, গানের মুখ-স্থায়ী উল্টোদিক থেকে গাইলে গানের প্রথম অন্তরা হয়। দ্বিতীয় অন্তরা দুই লাইনের, যা উল্টোদিকে গাইলে চার লাইন হয়। সর্বমোট ছয় লাইনের বা ষাট বর্ণের গান এবং দুই দিক থেকেই গানের সুর করা যাবে। যেহেতু গানগুলো আয়নার মতো এবং দুই দিক থেকেই গানের সুর করা যায়, তাই এ গানগুলোর নাম ‘আয়না সংগীত’ হয়েছে।
২০২০ সালে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে আয়না সংগীত লেখা শুরু করেন কবি রাজুব ভৌমিক। আয়না সংগীতের প্রথম গান ‘যায় প্রাণ গো’ গেয়েছিলেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ন্যান্সি। এরপর গেলো বছরের শেষের দিকে ‘চুপিচুপি ভালোবেসে’ শিরোনামের আয়না সংগীতের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বাংলা গানে কণ্ঠ দিয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক সিঙ্গার সোনু কাক্কার।
তার অসাধারণ অভিনয়ের জন্য আশা করা যাচ্ছে যে, সিনেমাটি দর্শকদের ভালো লাগবে। আরো জানা গেছে যে, সিনেমাটিতে শোনা যাবে সোনু কাক্কারের গান আর এই বিষয়টি সত্যি কিছুটা ভিন্নতা এনেছে। বাংলার আয়না সনেট থেকে সংগৃহীত আয়না সংগীত এই সিনেমার অন্যরকম একটি মজার বিষয় এবং এটা সিনেমাটিকে সফলতার দিকে নিয়ে যেতে একটা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে। সব মিলিয়ে এই সিনেমায় অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সবাই তাদের সেরাটা দেবার চেষ্টা করেছেন। তারা সবাই আশবাদী সিনেমাটির সাফলতা নিয়ে।