পুরুষ দ্বারা নারীদের লাঞ্চিত হওয়ার হার বাড়ছে। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ ধরনের ধারণা একটি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সূক্ষ্ম নারী নি”পীড়নের কৌশল, এই ধারণাকে সমর্থন করার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। আমাদের সমাজে এখন ও অধিকাংশ মানুষই দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করেন এবং এখন নারী শিক্ষার দৌড় অধিকাংশই সাক্ষরতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। গ্রামীণ সমাজে নারীদের জন্য তথাকথিত রীতিনীতি, সংস্কার এবং ধর্মীয় রীতিনীত হয়ে থাকে। সেখানে নারীর স্বাধীনতা, মর্যাদা, অধিকার বলে কিছু নাই। ঘটনাটি ব্যক্ত করলেন, নাট্য অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান ( Sadia Jahan ) প্রভা।
তিনি বলেছেন, এই পৃথিবীতে নারী হওয়া মোটেও সহজ নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে শাড়ি পরা ছবি দিয়ে দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ করেছেন প্রভা। কোনো নারীর বিবাহ বিচ্ছেদ হলে বলা হয়, মেয়েটি তার স্বামীকে ধরে রাখতে পারেনি। খারাপ কাজের শিকার হলে প্রশ্ন ওঠে, পোশাক কী ছিল? নারী সম্পদ অর্জন করলে তাকে পতি”/তা বলা হয়! সন্তান খারাপ কাজ করলে সব দোষ মায়ের, কারণ মা সন্তানকে নষ্ট করেছে!
তিনি আরও বলেন- ছেলে না জন্মালে তার দোষ, গর্ভে ছেলে নেই কেন? বিধবা হওয়ায় সম্পদের জন্য স্বামীকে নিথর করে দিয়েছেন। গার্হস্থ্য হেনস্থার শিকার হয়েও দোষের আঙুল উঠে মহিলার দিকে। নারীদের নানা দিক নিয়েও কথা বলেছেন প্রভা। এসব থেকে নারীদের আরও সম্মানের আহ্বান জানান তিনি। ব্যক্তিগত জীবনের একটি ঘটনার জেরে চরম বি”দ্বেষ ও সমালোচনার শিকার হন প্রভা। তাই এসব মানসিক নিপী” ড়ন নারী ভালোই বুঝতে পারে। অনেকেই এমন নিপী” ড়নের শি’কার হয়ে,অনেকে জীবনের পথ থেকে ছিটকে পড়েন। কিন্তু প্রভা থামেনি। নিজেকে ঘুরিয়েছেন। প্রভা এখনো ও নিয়মিত নাটকে কাজ করছেন। কিছুদিন আগে গায়িকা হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। এছাড়া ব্যক্তিগত জীবনও সাজিয়েছেন এই সুদর্শন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, সমাজে মানুষ বিতর্কিত হয়। সমাজের মানুষের মন-মানসিকতা সবার একই হয় না। সেহেতু সমাজের মানুষের কথা চিন্তা করে, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া বোকামি মাত্র। ব্যক্তিগত জীবনের গতিতে ছুটে যাওয়া বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।