স্বামী আর স্ত্রীর সম্পর্ক হলো পৃথিবীর সব থেকে মধুর সম্পর্ক। যে সম্পর্ক শুধু তাদের দুজনকে নয় বরং দুটি পরিবারকে সম্পর্ক ও ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে। সম্প্রতি এক বিয়েতে কনে বিয়ের আগেই বরকে পাঁচটি শর্ত বেঁধে দিল। যেগুলো সাড়া ফেলেছে নেটিজনদের মধ্যে। সে যেন এক অভূতপূর্ব শর্ত। কনের এমন উদ্ভট শর্তে সবাই হতবাক হয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো বর কি পারবে শর্তগুলো ঠিকঠাকভাবে পালন করতে। কনের এই শর্ত দেবার ঘটনটি ভা”ইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়।
দিনে অন্তত তিন বার তাকে ‘আই লাভ ইউ’ বলতে হবে। বিয়ের আগে হবু স্বামীর জন্য এমনই একটি চুক্তিপত্র তৈরি করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন এক কনে।
স্বামী কী করতে পারবে, কী পারবে না চুক্তিপত্রে সেই কথাও বলা আছে। ‘মেকআপবাইভূমিকাসাজ’ নামে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে সেই ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে।
চুক্তিপত্রে যা লেখা রয়েছে, বিয়ের আগে এমন চুক্তি কখনও কেউ শুনেছে কি না বা এমন চুক্তি আগে কখনও কেউ করেছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে হরষু কিন্তু পাকাপাকি ভাবেই বিষয়টি সাজিয়ে রেখেছিল। সেই চুক্তিপত্রের শর্তগুলো পড়া অবস্থায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। কনে নিজে পড়ছেন চুক্তিপত্রটি, এমন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কনের হাতে একটি খাম। তাতে বড় বড় ইংরেজি অক্ষরে ‘কনফিডেনশিয়াল’ কথাটি লেখা রয়েছে। কনেকে কেউ এক জন জিজ্ঞাসা করছে, ওই খামে কী রয়েছে। কনে ধীরে ধীরে খামের ভিতর থেকে চুক্তিপত্রটি বের করেন। সেই চুক্তিপত্রের উপর লেখা ‘করণ এবং হরষুর লাভ এগ্রিমেন্ট’। বরের নাম করণ। তার জন্যই এই চুক্তিপত্র বানিয়েছেন কনে হরষু।
হবু বরের জন্য চুক্তিপত্রে হরষু যে পাঁচটি বিষয় লিখেছেন সেগুলো হল—
• প্রতি রাতে ( night ) স্ত্রীর সাথে কারাওকে গাইতে হবে
• প্রতি দিন অন্তত তিন বার ‘আই লাভ ইউ’ বলতে হবে
• স্ত্রীকে ছাড়া বোনলেস চিকেন খাওয়া চলবে না
• কোনও কথার প্রেক্ষিতে ‘তোমার দিব্যি দিয়ে বলছি’, এটা বলার পর সত্যি কথাটাই বলতে হবে।
• আমৃ”ত্যু স্ত্রীকে ভালবেসে যেতে হবে
হরষুর এই চুক্তিপত্র নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। কেউ পক্ষে, কেউ আবার এমন চুক্তির বিপক্ষে মত দিচ্ছে।
কি ধরনের সময়ের আবির্ভাব ঘটলো যে কনে বর কে দিচ্ছে অদ্ভুত সব শর্ত যা দেখা গেলো বরের পক্ষে মেনে নেয়া কঠিন হয়ে পড়ে। আর এতে করে দেখা যায় অনেক সময় বিয়েতে বিঘ্ন ঘটে। এই বিয়েতে দেখা যায় যে কনে বরকে পাঁচটি শর্ত দিয়েছে। তবে কনে যে শর্তগুলো দিয়েছে, সেগুলো আসলেই মজাদায়ক ও হাস্যরসাত্মক। মনে হয় বরের পক্ষে কনের দেওয়া শর্তগুলো মেনে নেওয়া তেমন কঠিন কাজ নাও হতে পারে। শর্তগুলো দেখে মনে হলো বরের প্রতি কনের গভীর ভালোবাসা প্রকাশিত হলো। এতে থেকে বোঝা যায় যে কনে আগে থেকেই মনস্থির করে রেখেছিলো এ ধরণের শর্ত সে আগে থেকে লিখে রেখেছিলো এবং তা সবার সমানে বিয়ের দিন কনে নিজেই তা পড়ে শোনান।