নারীদেরকে নানা ভাবে খারাপ বা অনৈতিক হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন প্রায়ই। নিজ কর্মস্থলসহ সবখানে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। আধুনিক সভ্যতায় এসেও যদি নারীদেরকে সমাজে এমন ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রেম ঘটিত বিষয় ছাড়াও কর্মক্ষেত্রট। ঠিক তেমনি হয়রানির শিকারের কথা প্রকাশ করলেন হলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের ( Aishwarya Rai Bachchan ) এক ম্যানেজার।
সাবেক বিশ্বসুন্দরী সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগ মি টু পোস্ট করে নারীঘটিত খারাপ কাজের প্রস্তাবের হয়রানির খবর পোস্ট করেন। এ ক্ষেত্রে বেশি সোচ্চার হলিউড ও বলিউড তারকারা।
তাদের অনেকেই বলিউড অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে ( Rai Bachchan ) নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। তবে তার কোনো খারাপ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেননি।
অনেকেই ভেবেছিলেন ঐশ্বরিয়ার হয়তো এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। তবে ধারণাটি পুরোপুরি সঠিক নয়। ঐশ্বরিয়ার প্রাক্তন ম্যানেজারের মতে সম্প্রতি এটি প্রকাশিত হয়েছিল।
ঐশ্বরিয়ার ম্যানেজারের নাম সাইমন ( Simon ) শেফিল্ডস। আন্তর্জাতিক সিনেমায় ঐশ্বরিয়ার সব কাজ দেখাশোনা করতেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, হলিউড প্রযোজক হার্ভে ( Harvey ) ওয়েইনস্টেইন একসময় ঐশ্বরিয়ার জন্য ম”রিয়া ছিলেন। এ ব্যাপারে তিনি সাইমন ( Simon )কে সরাসরি প্রস্তাবও দেন।
সাইমন ( Simon )ের মতে, ঐশ্বরিয়ার কাছে ২০১৪ সালে বেশ কয়েকটি কাজের প্রস্তাব ছিল। মাঝে মাঝে, অভিনেত্রী কাজের জন্য হলিউডের ( Hollywood ); হেডকোয়ার্টার লস অ্যাঞ্জেলেসে যান। সেই সময়ে হার্ভে ( Harvey )র সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছিল ঐশ্বরিয়ার।
বৈঠকের মাঝখানে সাইমন ( Simon )কে একা পেয়ে হার্ভে ( Harvey ) সরাসরি জিজ্ঞেস করলেন, ঐশ্বরিয়াকে বাড়িতে একা পেতে হলে তার কী করা উচিত?
জবাবে, সাইমন ( Simon ) ব্যাখ্যা করেছিলেন যে তিনি তার ক্লায়েন্টকে স্পর্শ করার সুযোগ দেবেন না।
হার্ভে ( Harvey )কে ঘিরে শুরু হয় হলিউডের ( Hollywood ) মিটু আন্দোলন। হলিউডের ( Hollywood ) শীর্ষস্থানীয় সব অভিনেত্রীই প্রযোজকের বিরুদ্ধে নারীঘটিত খারাপ কাজের হয়রানির অভিযোগ এনেছেন।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, গিনেথ প্যালট্রো ( Gineth Paltrow ), জেনিফার লরেন্সের ( Jennifer Lawrence ) মতো অভিনেত্রীরা তার নাম নিয়ে অভিযোগ করেছেন। সেই থেকে, হার্ভে ( Harvey )কে হলিউডের ( Hollywood ) নারীঘটিত অপ’রাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
প্রসঙ্গত, নারীদের হয়রানি বর্তমানে সমাজে একটা ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ব্যাধি নিরসনে সকল শ্রেনীর মানুষেকে আর সচেতন হতে হবে। নারীদের সাথে খারাপ কাজের বিষয়ে হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচারনের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে এবং তাদের এই সমাজের যথাযথ মর্যাদা ও সন্মান দিতে হবে।