Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানালেন বড় বোন সেলিমা ইসলাম

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানালেন বড় বোন সেলিমা ইসলাম

বিএপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এখন বাসায় সময় কাটাচ্ছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের ( government ) কাছে আবেদন করেছে তার পরিবার। বেগম খালেদা জিয়ার শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, এমনটাই জানান তার চিকিৎসকেরা। তার এই চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন তার চিকিৎসকেরা এবং নেতারা।

বিএনপি ( BNP ) নেত্রীর বড় বোন সেলিমা ইসলাম বলেন, প্রায় প্রতিদিনই বিদেশে অবস্থানরত তার বড় ছেলে তারেক রহমানের ( Tareq Rahman ) সঙ্গে কথা হয়। ছেলের স্ত্রী ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এর বাইরে কারো সাথে দেখা করতে চাই না।

বিএনপি ( BNP ) নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তৃতীয় দফায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরার দেড় মাস হয়ে গেছে। এ সময় তার নতুন কোনো শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়নি।

এ সময় বিএনপি ( BNP ) নেতার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড ( Medical Board )ের বৈঠকে বসতে হয়নি। এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের একটি দল সময়ে সময়ে গুলশান-২ ফিরোজার ( Gulshan-2 turquoise ) বাসায় যান।

সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেডিকেল টিমের সহায়তায় গঠিত চিকিৎসক দলের একজন সদস্য বলেন, হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মেডিকেল বোর্ড ( Medical Board ) আর বসে নেই।

গুলশানের বাসায় গৃহপরিচারিকা এবং সার্বক্ষণিক হেল্পার ফাতেমাই এখন দেখভাল করছেন। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বড় বোন বেগম সেলিমা ইসলাম ( Begum Selima Islam ) সময়ে সময়ে বেড়াতে আসেন, সময় কাটান।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের বিরুদ্ধে সতর্কতা হিসাবে, এই সময়ে বাইরের কাউকে বাড়িতে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও তার সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না।

খালেদা জিয়ার বড় বোন বেগম সেলিমা ইসলাম ( Begum Selima Islam ) বলেন, আপনি আগের মতোই আছেন। যদি আবার খারাপ কিছু না ঘটে, আমি প্রার্থনা করি।

বিএনপি ( BNP ) নেত্রী বাড়িতে কীভাবে সময় কাটান জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি খাবারে আগ্রহী নই এবং আমি তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। প্রায় প্রতিদিনই তিনি বিদেশে অবস্থানরত তার বড় ছেলে তারেক রহমানের ( Tareq Rahman ) সঙ্গে কথা বলেন। ছেলের স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়। এবং নাতি-নাতনি। আমি এর বাইরে কারও সঙ্গে দেখা করতে চাই না।

প্রধানমন্ত্রীর একটি নির্বাহী আদেশে দুটি দুর্নীতির মামলায় তার ১৭ বছরের কারাদণ্ড স্থগিত করার পর বিএনপি নেত্রীকে ২৫ মার্চ, ২০২০ ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে মুক্তির মেয়াদ আরও চারবার বাড়ানো হয়।

বাসায় ফেরার এক বছর পর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগে সংক্রমিত হয়ে গত এপ্রিলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি নেতা। ৫১ দিন পর বাসায় ফিরে একই বছরের ১২ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত আবারও একই হাসপাতালে যান তিনি।

এরপর ১৩ নভেম্বর থেকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। সে সময় তাকে বাসার বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে নানা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। বাসা থেকে বের না করলে তাদের নেত্রীকে বাঁচানো যাবে না বলে দাবি করা হচ্ছে। কারণ, তার রোগ, তার চিকিৎসা দেশে নেই।

শুরুতেই বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা বলা হয়নি। পরে তার লিভারের সিরোসিস ধরা পড়ে। আর একসময় শরীরের ভেতরের র”ক্তক্ষরণ কোনোমতে সামাল দেওয়া হয়েছে। এর চিকিৎসা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের কয়েকটি জায়গায় পাওয়া যায়।

খালেদা জিয়ার ফেরত আসা তিন চিকিৎসকের একজন ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী এক ব্রিফিংয়ে বলেন, হাসপাতালে বিপুল সংখ্যক বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগে সংক্রমিত রোগী থাকায় তারা বিএনপি নেত্রীকে সেখানে রাখতে চাননি।

বাসায় ফেরার পর বেগম খালেদা জিয়ার দুটি ছবি গণমাধ্যমে এসেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফিরোজার কাছে সনদ তুলে দিতে যান। এ সময় খালেদা জিয়া সোফায় বসে ছিলেন। পিপিই শেষে ফখরুল তার কাছে যান।

এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিতে বাসা থেকে বের হন খালেদা জিয়া। ভ্যাকসিন নিতে নিজের গাড়িতে মহাখালীর শেখ রাসেল ন্যাশনাল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল প্রাঙ্গণে যান তিনি। এদিন দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। তিনি গাড়িতে বসেই হাসপাতালের কর্মীরা তাকে টিকা দেন।

জানতে চাইলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপি নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, “ভালো-মন্দ বলা যায় না। আগে যে রক্তক্ষরণ হতো, দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ ছিল, তা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে যে কোনো সময় অবস্থার অবনতি হতে পারে বলে আশ”/ঙ্কা করছে মেডিকেল বোর্ড।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাস্থ্য নিয়ে আর কী বলব? আপনারা সকলেই জানেন. দোয়া করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে।

পরে হাইকোর্ট সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এরপর থেকে তাকে ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে থাকতে হয়। পরে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

২০২০ সালে দেশে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের সংক্রমন শুরু হওয়ার পর পরিবারের অনুরোধে গত বছরের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়।

খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বেরিয়ে গুলশানে তার ভাড়া বাসায় যান। এরপর মুক্তির মেয়াদ আরও চার পয়েন্ট বাড়ানো হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাগারের বাইরে থাকবেন।

উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া না হলে বিএনপি আন্দো”লন অব্যাহত রাখবে। তার শরীরে ভেতরে র’ক্তক্ষরণ হচ্ছে, আর এই চিকিৎসা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হবার আগে তাকে বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন। অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানো হোক সরকারের কাছে এমনটি দাবি করছে তার পরিবার।

About bisso Jit

Check Also

লিপি ওসমানকে নিয়ে সিটি সেন্টারে শামীম ওসমান

দুবাইয়ের আজমান শহরের সিটি সেন্টার শপিং মলে আবারও দেখা মিললো নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *