ইউক্রেন ও রাশিয়ার ( Russia ) সৃষ্ট সংকটে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইউক্রেনীয় ( Ukrainian ) নাগরিকসহ আরও অনেক দেশের মানুষ ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন, আবার অনেকে প্রয়াত হয়েছেন। অসংখ্য প্রয়াতদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের ( Bangladesh ) নাবিক হাদিসুর। নাবিক হাদিসুর রহমান আরিফ ( Hadisur Rahman Arif ) রাশিয়ার ( Russia ) রকেট নিক্ষেপে প্রান হারান। মঙ্গলবার ( Tuesday ) (১৫ মার্চ) দুপুরে হাদিসুর রহমানের বাবা আব্দুর রাজ্জাক ( Abdur Razzak ) তার জানাযা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, বড় ছেলে প্রয়াত হওয়ার কারনে আর্থিক সংকটে পড়েছে তার পরিবার। এ অবস্থায় কনিষ্ঠ দুই ছেলের মধ্যে একজনকে চাকরির ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ( Sheikh Hasina ) কাছে আবেদন জানিয়েছেন তার পিতা-মাতা।
জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ( February ) ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশি জাহাজ এমভি বাংলা আলভিয়া বন্দরে আটকা পড়ে। ২ মার্চ ( March ) জাহাজটি সেখানে নোঙর করার সময় একটি রকেটের আঘা”তে পড়ে। এতে প্রাণ হারান জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী হাদিসুর রহমান প্রয়ানের ১২ দিন পর সোমবার (১৪ মার্চ ) দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তুর্কি ( Turkish ) এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হাদিসুরের মরদেহ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ( Hazrat Shahjalal Airport ) পৌঁছায়। মঙ্গলবার ( Tuesday ) (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় জানাজার নামাজের পর বরগুনার বেতাগী ( Betagi Barguna ) উপজেলার কদমতলা ( Kadamtala ) গ্রামে নিজ বাড়িতে দাদা-দাদির কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
হাদিসুরের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিথর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন রয়েছে। আমি আমার ছেলের নিথর দেহ খুঁজে কবর দিয়েছি। এখন সরকারের কাছে আরেকটি অনুরোধ দুই ছেলের একজনের চাকরির ব্যবস্থা করতে।
হাদিসুরের ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম তারেক বলেন, “আমার বাবা-মায়ের আয়ের একমাত্র উৎস ছিল আমার ভাই। এখন বাবা-মায়ের দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই। আমরা দুই ভাই বেকার। চাকরির প্রস্তাব দিলে বাবা-মা বাঁচতে পারবে। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী আমাদের পরিবারের দেখভাল করুন।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন আবু সুফিয়ান বলেন, আমরা হাদিসুরের পরিবারকে ১ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়ার কথা ভাবছি। আশা করছি এটা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যেকার সৃ্ষ্ট সংকট দ্রতই সমাধান হবে। সংকটে অনেক মানুষ ক্ষতির সন্মুখীন হচ্ছে অচিরে তা থেকে মুক্তি লাভ করবে এটাই বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা। এমন ধরনের সংকট যেন আর সৃষ্টি না হয় এবং হাদিসুরের মতন কাউকে না হারায় বাংলাদেশের মানুষ।