ভারত ও বাংলাদেশের ( Bangladesh ) বন্ধুত্ব স্বাধীনতার পরে থেকেই। পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। বন্ধুত্বের জের ধরে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে অ্যাম্বুলেন্স উপহার হিসেবে আগেও অনেকবার দিয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ১৫ মার্চ সকাল ( March morning ) ১১টায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের ( Khulna City Corporation ) মেয়ের জনাব তালুকদার আব্দুল খালেক ( Talukdar Abdul Khaleq ) ও ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ হতে সহকারী হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রায়না ( Rajesh Kumar Raina ) মংলা বন্দর ( Mongla port ) পৌর মেয়র শেখ আবদুর রহমানের ( Sheikh Abdur Rahman ) নিকট অ্যাম্বুলেন্সের চাবি তুলে দেন। মংলা বন্দর ( Mongla port ) পৌরসভায় এই প্রথমবার আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি অ্যাম্বুলেন্স পেয়েছে রোগী সেবার জন্য।
অ্যাম্বুলেন্সে লাইফ সাপোর্ট সুবিধা রয়েছে। মেয়র আব্দুর রহমান বলেন, পৌরসভা পূর্ণাঙ্গ সেবা দেওয়া শুরু করলে গুরু তর অসুস্থ রোগীদের লাইফ সাপোর্টের জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তবে জরুরি রোগী কল না থাকলেও সাধারণ রোগীরাও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
সহকারী হাইকমিশনার রাজেশ কুমার রায়না বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পাশে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বর্তমান বাংলাদেশের ( Bangladesh ) সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভারত সরকার খুশি। আমরা যে অ্যাম্বুলেন্সটি দান করেছি তাতে নতুন আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে। এটি প্যারামেডিক এবং প্রশিক্ষণার্থীদের মানসম্পন্ন জরুরি পরিষেবা এবং রোগীদের ট্রমা লাইফ সাপোর্ট দিতে সাহায্য করবে।
গত বছর ভারতের ( India ) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( Narendra Modi ) দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে আসেন। এ সময় তিনি স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও চলমান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের পরিস্থিতি যৌথভাবে মোকাবিলায় বাংলাদেশকে লাইফ সাপোর্ট ( Life support Bangladesh ) সুবিধাসহ ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। এরপর পাঁচটি চালানে ১০৯টি অ্যাম্বুলেন্স দেশে পৌঁছায়।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসা সেবা আরো উন্নত হোক, দেশের দারিদ্র মানুষের দ্বার প্রান্তে চিকিৎসা সেবা পৌছে যাক এটাই সবার প্রত্যাশা। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের সময়কালে চিকীৎসার অভাবে মানুষ বিভিন্নভাবে সমস্যার সন্মুখীন হয়। চিকিৎসা সেবায় আধুনিক সারনঞ্জাম দেশের সংশ্লিষ্ট খাতে সংযোজিত হোক, সেবার মান উন্নত হোক, এটাই জনগনের কাম্য।