সম্প্রতি ইউক্রেন রাশিয়ার সংঘাত যেন সারা বিশ্বকে চিন্তার ভেতর ফেলে দিয়েছে। বর্তমান পেক্ষাপটে তুমুল আলোচনার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, এই সংকটের ফলাফল কি হতে পারে। ইউরোপের অন্তর্ভুক্ত দেশ হওয়ায়, ইউক্রেনে ( Ukraine ) বসবাসরত ছিল অনেক বিদেশি নাগরিক। তাদের ভেতর বাংলাদেশী নাগরিকদের সংখ্যাও কম ছিল না। বসবাসরত বাঙালি ছাড়াও আটকা পড়েছিল ‘বাংলা সমৃদ্ধি’ নামক একটি বাংলাদেশি জাহাজ। সেই জাহাজটি ছিলেন ২৯ জন বাংলাদেশি নাবিক।
ঘন অন্ধকারে হঠাৎ চাঁদের আলো দেখার মতো। সমস্ত উদ্বেগ এবং উদ্বেগ দূর হয়। কারণ তাদের আদরের সন্তান রণাঙ্গন মাড়িয়ে দেশে ফিরেছে।নাবিক মনসুরুল আমিন খান ( Mansurul Amin Khan ) গিনির উপস্থিতিতে সাতক্ষীরা ( Satkhira )র নোঙর বাড়িটি আলোকিত হয়ে উঠল। বৃহস্পতিবার ( Thursday ) সাতক্ষীরা ( Satkhira ) শহরের নারিকেলতলায় ,নোঙর’ বাড়িতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ( Bangladesh Shipping Corporation ) জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি নামের ২৯ জন নাবিকের একজন রুশ বো”মা হাম”লায় ঘন অন্ধকারে হঠাৎ চাঁদের আলো দেখার মতো। সমস্ত উদ্বেগ এবং উদ্বেগ দূর হয়। কারণ তাদের আদরের সন্তান রণাঙ্গন মাড়িয়ে দেশে ফিরেছে।
নাবিক মনসুরুল আমিন খান ( Mansurul Amin Khan ) গিনির ( Guinea ) উপস্থিতিতে সাতক্ষীরা ( Satkhira )র নোঙর বাড়িটি আলোকিত হয়ে উঠল। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা শহরের নারিকেল তলায় ,নোঙর’ বাড়িতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ( Bangladesh Shipping Corporation ) জাহাজ বাংলার সমৃদ্ধি নামের ২৯ জন নাবিকের একজন রুশ বো’/মা হাম”লায় প্রয়াত হয়েছেন। বাকি ২৮ জন ফিরেছেন। তাদের একজন সাতক্ষীরার নুরুল আমিন খান ওরফে সেলিম খানের ( Selim Khan ) ছেলে মনসুরুল আমিন খান ( Mansurul Amin Khan ) গিনি।
ইউক্রেনে হা”মলার ভ”য়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে মনসুর বলেন, “২ মার্চ স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে আকস্মিক বি”স্ফো”রণে আমরা কেঁপে উঠেছিলাম। আমি উপরে গিয়ে দেখি একটি বি”স্ফোরণ হয়েছে। ধোঁয়া উড়ছে, আগু’ন জ্বলছে। আমরা দ্রুত আগু’ন নেভাতে পেরেছি কিন্তু ততক্ষণে আমরা আমাদের একজন সহকর্মীকে হারিয়ে ফেলেছি, তাকে ছেড়ে আমাদের দেশে ফিরে যেতে হয়েছিল।
ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে নোঙর করা বাংলার সমৃদ্ধি এর নাবিকরা দ্রুত জাহাজ থেকে নামলেন। এরপর ভ”য়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয় তাদের। স্থানীয় একটি নৌকা এসে তাদের উদ্ধার করে। নিরাপদ স্থানে রাখার পর আরও নিরাপত্তার জন্য বাঙ্কারে রাখা হয়।মনসুরুল আমিন খান গিনি বলেন, “আমরা আগুন দেখেছি, আমরা জাহাজের ধ্বং’সাবশেষ দেখেছি, আমরা প্রয়ান দেখেছি,” বলেছেন মনসুরুল আমিন খান গিনি, দৃশ্যটি ভ”য়াবহ ছিল। চারিদিকে বিকট শব্দ। আকাশ জুড়ে ধোয়া কুণ্ডলী। কোনো হ’তাহ’তের ঘটনা না ঘটলেও আমাদের আ/ত”ঙ্কের শেষ নেই। বাড়িতে মাঝেমধ্যে মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু আ/ত”ঙ্ক আর হতা’শা পিছু ছাড়েনি। তবু আশায় বুক বেঁধেছিলাম একদিন বাড়ি ফিরব।
মনসুর আরও বলেন, শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটিয়েছি। আমরা বাংলাদেশ সরকার, শিপিং কর্পোরেশন এবং সর্বোপরি রোমানিয়ার দূতাবাসকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই সুস্বাস্থ্যের সাথে দেশে ফিরে আসার জন্য তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার জন্য। মনসুরুল আমিন খানের বাবা নুরুল আমিন খান, সাবেক বিএডিসি কর্মকর্তা এবং তার মা মর্জিনা খানম তাদের ছেলেকে খুঁজে পেয়ে আকাশে চাঁদের দেখা পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন। হাসলেন স্ত্রী আশরুকা সুলতানা ও তিন সন্তান ফাহিমি, ফারহান ও ছোট ছেলে ফারদিন।
উল্লেখ্য, নাবিক মুনসুর জানান, এটি হয়তো আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে পাওয়া উপহার। আমরা আমাদের একজন সহকর্মী কে হারিয়েছি। নিরাপত্তা স্বার্থে আমাদেরকে বাংকারে রাখা হলেও, প্রতিমুহূর্তে আমরা প্রয়ানকে দেখেছি। তার পরেও মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেছি। সব সময় আশায় বুক বেঁধে ছিলাম হয়তো বাড়ি ফিরব। মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ও রোমানিয়ান দূতাবাসের সহায়তায় আমরা ২৮ জন নাবিক দেশে ফিরে আসতে পেরেছি।