প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ার ফানিয়া আইওপ্রেনিয়া নামের এক তরুণী ছুটে এসেছেন বাংলাদেশে ( Bangladesh )। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফে’সবুকের মাধ্যমে প্রথমে তাদের পরিচয় এরপরে প্রেমের সম্পর্কে রুপ নেয়। গতকাল সোমবার (৭ মার্চ ) বিকেলের দিকে ইন্দোনেশিয়া হতে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ( Hazrat Shahjalal Airport ) এসে পৌঁছান। তারপর তিনি রাসেল আহমেদের ( Russell Ahmed ) গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর ( Lakshmipur ) জেলার রায়পুর উপজেলাধীন রাখালিয়া ( Shepherd ) গ্রামে যান। ভালবাসার টানে মানুষ কতকিছুই না করেন ইন্দোনেশিয়া তরুণী তার বড় দৃষ্টান্ত।
ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপকের পাউদি হেলমি এবং ফিসুনিয়াদি ইসনা ওয়াপির মেয়ে। সেখানে একটি কল সেন্টারে কাজ করেন। রাসেল আহমেদ রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া ( Shepherd ) গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে মো. তিনি পেশায় একজন পোশাক ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকের ( Facebook ) মাধ্যমে ফানিয়ার সঙ্গে রাসেলের পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। এক পর্যায়ে, এটি অদেখা দূরত্বকে সেতু করে এবং একটি প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে।
রাসেল দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যকে বলেন, চার বছর প্রেমের পর বিয়ের জন্য সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে ( Bangladesh ) চলে আসেন ফানিয়া। তিনি ভবিষ্যতে স্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে ( Bangladesh ) স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তবে আপাতত নয়। দুই মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন ফানিয়া। ছুটি শেষে আবার ইন্দোনেশিয়া রওনা দিতে হবে। তবে এক সময় তিনি ফানিয়াকে নিয়ে বাংলাদেশে ( Bangladesh ) স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চেয়েছিলেন। ফানিয়াও বাংলাদেশে ( Bangladesh ) থাকতে আগ্রহী।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমেদের বাড়িতে গিয়ে রাসেলের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় ফানিয়াকে।
তিনি বলেন, রাসেলের প্রতি গভীর ভালোবাসা নিয়েই তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। সে তাকে বিয়ে করতে চায়। বিষয়টি সে তার বাবা-মাকে জানায়। এদেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ। ফানিয়া বাংলা জানে। কিন্তু বলতে পারে না। ধীরে ধীরে বাংলা শেখার চেষ্টা করছি।
রাসেল আহমেদের মা বিলকিস বেগম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ফানিয়া এখানে আসার পর থেকে তার পরিবারের সঙ্গে ভালোই মিশে আছে। সবাইকে নিজের করে নিয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যও সৃষ্টি হয়েছে। বিদেশীকে দেখতে মানুষ ভিড় করছে।
প্রসঙ্গত, তাদের মধ্যে ভালবাসা যে কত গভীর ছিল তার এই ইন্দোনেশিয়ার তরুণী বাংলাদেশে এসে প্রমান করলেন। দেশের মানুষ তাদের ভালবাসার এই বিষয়টিকে অভিনন্দন জানিয়েছে ফেসবুকসহ অনন্য যোগাযোগ মাধ্যমে। তাদের ভালবাসার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই উভয় পরিবারকে সকল কিছুর উর্ধ্বে গিয়ে মেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে নেটিজনেরা। জীবনের বাকিটা পথ তারা এক সাথে পার করেবে এটাই প্রত্যশা এলাকাবাসীর