দেশের মানুষের প্রধান আকর্ষণ যেন রাজধানী শহর ঢাকা। সচ্ছলভাবে বাঁচার আশায়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ কর্ম, পড়াশোনা, ব্যবসা ও যেকোনো জীবিকার সন্ধানে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে ছুটতে দেখা যায়। তাদের ধারণা ঢাকায় ( Dhaka ) অনেকটা সহজেই চাকরি বা আয়মূলক কাজ পাওয়া সম্ভব। তাই কাজের সন্ধানে সেখানেই সারা দেশের মানুষ জড়ো হওয়ার প্রবনতা দেখা যায়। অনেকের জীবনে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে তারা ঢাকাতেই অবস্থান করে থাকে।
ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট না থাকলে জীবন অকেজো-এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।( Sheikh Hasina) তিনি নাগরিকদের রাজধানীর বাইরে বসবাস করে স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার পরামর্শ দেন। রোববার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন অন্তর্ভুক্ত ১৮টি ওয়ার্ডের সড়ক অবকাঠামো ও ড্রেনেজ সিস্টেমের নির্মাণ ও উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট না থাকলে জীবন অকেজো-এইসব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। আমরা সড়ক উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা খুব সহজে ঢাকায়( Dhaka ) আপনার আসা-যাওয়ার ব্যবস্থা করছি। নাগরিকদের রাজধানীর বাইরে বসবাস ও স্থায়ী ঠিকানা খোঁজার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায়( Dhaka ) যাতায়াত ও কর্মস্থলে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকার উন্নয়ন হয়নি। উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ যেদিকেই তাকান, সেখানেই রক্ষাবাদী চেতনার জোয়ার বইছে। ফলে মানুষের চাপে তা ধীরে ধীরে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চাপ কমাতে আমি বিভক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকা সিটি করপোরেশনকে( Dhaka City Corporation ) দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।এছাড়া আশপাশের এলাকাগুলোকে দুই সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যাতে সেখানে বসবাসকারী মানুষও নাগরিক সুবিধা পান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সীমিত শক্তিতে যতটা সম্ভব ঢাকা শহরকে আধুনিক, সবুজ ও বাসযোগ্য করার চেষ্টা করছি। নতুন ইউনিয়ন যোগ করে ১৮টি ওয়ার্ড করেছি।
তিনি বলেন, এখানে খেলার মাঠ, পাবলিক টয়লেটসহ বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা তৈরির প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে নতুন এই ঢাকা আরও সুন্দর হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কারণ এই কাজের দায়িত্বে থাকা ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নও তাঁরই তৈরি এবং যখনই তাদের যে কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তারা তা সুচারুভাবে করে চলেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ ও ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাকারিয়া হোসেন প্রকল্পের ওপর একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
উল্লেখ্য, নগর প্রকৌশলী বলেন, মানুষের জীবনযাপনের উন্নত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রাজধানীতে আয়তনের তুলনায়, জনসংখ্যা অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। জনসংখ্যার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্যক্তিগত ও পাবলিক যানবাহন। ইতিমধ্যে সড়কের উন্নতি লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। কর্মসংস্থানের জন্য সবারই শহরে আসা লাগে, রাজধানীর আশেপাশে যদি বসতি স্থাপনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, একদিকে জনগণের যেমন মিলবে স্বস্তি। অন্যদিকে ঢাকা শহরের নগরায়ন ও সবুজায়ন বাস্তবায়িত করা সম্ভব হবে ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে।