গত ২৮ জানুয়ারি শুরু হওয়া বাংলাদেশ( Bangladesh ) শিল্পী সমিতি নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেই চলেছে। শিল্পীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের তর্ক-বিতর্ক । সাধারণ সম্পাদকের পদ পাওয়ার জন্য নিপুণ জায়েদের মধ্যে তৎপরতা নিয়ে বিগত কয়েক মাস যাবত যোর চেষ্টা চলছে। তবে হাইকোর্ট সব সমস্যার অবসান ঘটিয়ে জায়েদ খানকে( Zayed Khan ) চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করেন। এই নিয়ে ও শুরু হয়েছে নানা মতভেদ।
হাইকোর্টের রায়ের পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির( Film Artists Association ) সাধারণ সম্পাদক হিসেবে জায়েদ খানের শপথ নেওয়ার পরদিন তাকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন।
১৮টি সংগঠনের নেতা সোহানুর রহমান সোহান( Sohanur Rahman Sohan ) হাইকোর্টের সার্টিফাইড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে শপথ না নেওয়ার দাবি জানান।
কিন্তু শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন( Elias Kanchan ) তা না করায় ক্ষুব্ধ ১৮টি সংগঠনের সদস্যরা।
শনিবার সকালে এফডিসিতেএক বৈঠকে জায়েদ খানকে( Zayed Khan )বয়কটসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিল্পী সমিতিকে বাদ দিয়ে ফিল্ম এক্সিবিটরস( Film exhibitors ) অ্যাসোসিয়েশনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যা এখন বিতর্কের বিষয়।
এদিকে জায়েদ খানকে(Zayed Khan )বয়কট করা এবং বৈঠকে আমন্ত্রণ না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইলিয়াস কাঞ্চন( Elias Kanchan )।
শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি বলেন, জায়েদ বা নিপুন আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখা। আমি আদালতের রায়ের সার্টিফাইড কপি দেখে জায়েদের কাছে শপথ পড়িয়েছিলাম। এখন কে বা কোন সংস্থা তাকে পছন্দ করেনি তা বিবেচ্য নয়। আদালতের রায় আমি মানতে বাধ্য।
একজন ব্যক্তিকে ইস্যু করে শিল্পী সমিতি ছাড়া সভা করা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেন ইলিয়াস কাঞ্চন( Elias Kanchan )।
তিনি বলেন, প্রতিটি সমিতি সংবিধান অনুযায়ী চলে। এখানে কারোর সম্পর্কে কারো সাবধানতা অবনতি হবে। শিল্পী সমিতি নামে ১৮টি সংগঠন বললে আমি অবশ্যই যাব। তবু চাইবো ভেদাভেদ ভুলে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। অন্যথায় শিল্প আরও তলিয়ে যাবে। আমরা মানুষের হাসির পাত্র হব।
পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান( Sohanur Rahman Sohan ) বলেন, “আমরা জায়েদ খানকে(Zayed Khan )বয়কট করেছি। আমি ইলিয়াস কাঞ্চন( Elias Kanchan ) ভাইকে বলেছিলাম, কোটের সার্টিফাইড কপি না পাওয়া পর্যন্ত তাকে শপথ করবেন না। তিনি আমাদের কথা শোনেননি। তাই যতক্ষণ জায়েদ খান আছেন, ততক্ষণ সবকিছু শিল্পী সমিতি ছাড়া হবে।
সভায় প্রডিউসার-ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাসোসিয়েশন, ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন, ডান্স ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন, ফটোগ্রাফার( Photographer ) অ্যাসোসিয়েশন, ফাইট ডিরেক্টর( Fight director ) অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর অ্যাসোসিয়েশন, মেকআপম্যান অ্যাসোসিয়েশন, প্রোডাকশন ম্যানেজার অ্যাসোসিয়েশনসহ ১৮টি সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ( Bangladesh ) চলচ্চিত্র কোন এক সময়ে দেশের মানুষের অন্যতম বিনোদনের একটি মাধ্যম ছিল। তবে বর্তমানে বিনোদনের জন্য ভার্চুয়াল বিভিন্ন মাধ্যম তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশ( Bangladesh ) চলচ্চিত্র যেন ধীরে ধীরে বিলুপ্তের দিকে। এ সময়ে নিজেদের মধ্যে প্রতিন্দিতার সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ( Bangladesh ) চলচ্চিত্রকে আরও উন্নত করার দিকে বেশি লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রেমী দর্শকেরা।অন্যদিকে, বর্তমান রাজনৈতিক বেড়াজালে সিনেমার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্লেষকেরা।