দলীয় সভায় নিজেদের নেতৃত্বের বিপক্ষে মুখ খুলে দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন অভি্নেএী লকেট চ্যাটার্জি( Locket Chatterjee )। শনিবার( Saturday ) বিজেপির( BJP ) একটি চিন্তন সভায় লকেটের মন্তব্যের পর তাকে উদ্দেশ্য করে পাল্টা আক্রমন শুরু করে বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সবাইকে চমকে দিয়ে সেই আক্র”মনের নেতৃত্ব দেন দিলীপ ঘোষ। এরপর দলীয় কমিটি গঠন নিয়ে নেতৃত্বের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। হিন্দুস্তান টাইমসের( Hindustan Times ) খবর।
শনিবার( Saturday )ের বৈঠকে লকেট বলেছিলেন যে তিনি শুধু সন্ত্রাসবাদকে দায়ী করবেন না, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সংগঠনের দুর্বলতা স্বীকার করতে হবে। যোগ্যতাকে গুরুত্ব না দিয়ে কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে দলীয় কমিটি গঠন করা হচ্ছে। যা অনুচিত।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে( In West Bengal ) লকেটকে দেখা যায়নি। গত ডিসেম্বরে( Last December ) তিনি বিজেপির( BJP ) নতুন রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। এরপরও, লকেট দলের কোনো মিটিংয়ে অংশ নেননি। পৌরসভা নির্বাচনের কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি।
প্রবীণ বিজেপি নেতা কৃষ্ণ ভট্টাচার্য( Krishna Bhattacharya ) পুরসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের দ্বারা প্রবল হেনস্থার শিকার হয়েছেন। অনেক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে। কিন্তু তখনও দেখা যায়নি লকেটকে
লকেট দাবি করেছেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তাঁকে উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছেন। ফলে পশ্চিমবঙ্গে( In West Bengal ) সময় কাটাতে পারেননি তিনি। যদিও রাজ্য বিজেপির( BJP ) একাংশ তা মানতে নারাজ।
তাদের দাবি, ১৪ ফেব্রুয়ারি( February ) ছিল উত্তরাখণ্ডে ভোটের দিন। লকেট তখন পৌর নির্বাচনের প্রচারণার জন্য দুই সপ্তাহ সময় পান। কিন্তু রাজ্যে তার ছায়া পড়েনি। তবে পৌর নির্বাচনে যারা লড়েছেন তাদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে, বিজেপির( BJP ) সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ লকেটের( Dilip Ghosh of Locket ) মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। যারা মাঠে ছিলেন না তারা কীভাবে আত্মসমালোচনা করবেন? যারা যুদ্ধ করেছে তারা জানে এটা কতটা কঠিন।
যদিও লকেটের মন্তব্য নিয়ে মুখ খোলেননি দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।( Sukant Majumdar. ) তিনি বলেন, “দলের মধ্যে কী আলোচনা হয়েছে তা নিয়ে আমি খোলাখুলি কথা বলব না। লকেট চ্যাটার্জি( Locket Chatterjee ) যা বলেছেন সবই নথিভুক্ত।
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের জবাবে লকেট বলেন, আমি দলে বলেছি।আর ভবিষ্যতেও তাই বলব। দিলীপদা দলের সহ-সভাপতি। তিনি জানেন আমি কোথায় দায়িত্বে ছিলাম।
প্রসঙ্গত, দলের নেতৃত্বের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ থাকবে এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু দলীয় বিভাজনের মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট করে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি কাম্য নয় এমনটাই জানিয়েছেন সেখানকার রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। প্রত্যেক দলকে তার দলীয় নিয়ম নীতির মাধ্যমে কমিটি গঠন করলে সংকটের সৃষ্টি হয় না বলেন তারা। দলের মধ্যে সংকট সৃষ্টি হলে তার প্রভাব শুধু দলের মধ্যে নয় সাধারন মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়। বিজেপির( BJP ) নেতৃত্বের মধ্যে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত নিরসন হবে এটাই দলের নেতাদের আশা।