বাজারজাতকরন কাজে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থেকে বোতলজাত সয়াবিনের দাম বর্তমান মুল্যের উপর লিটার প্রতি ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৮০ টাকা করনের প্রস্তাব পেশ করেন সংশ্লীষ্ট ব্যাবসায়ীরা। গত বুধবার ০২ মার্চ সচিবালয়ের এক আলোচনা সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তেলের মুল্য বৃদ্ধির এই প্রস্তাবনামুলক তথ্যের কথা গনমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছিলেন।
তবে আসন্ন রোজাকে কেন্দ্র করে পন্যের মুল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে এই প্রস্তাব নাকচ করার তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী। অপর দিকে তেলের বর্তমান বাজার মুল্য স্থিতিশীল রেখেও যথেষ্ট মুনাফা অর্জন করা যায় কিন্তু সেইটা অর্জনের মুলমন্ত্র হলো দেশের প্রতি আনুগত্য, সৎ মানবিকতা ও নৈতিকতার বহি:প্রকাশ বলে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে মন্তব্য করেছেন গোলাম রাব্বানী ( Golam Rabbani )।
ছাত্রলীগ ( Chhatra League )ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ( Golam Rabbani ) বলেছেন, ইতিবাচক মানসিকতা, আত্মপ্রত্যয়, সততা ও দেশপ্রেম থাকলে প্রতি লিটারে ১২৫ টাকায় সয়াবিন তেল গ্রাহক পর্যায়ে দেওয়া সম্ভব। রোববার ৬ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তেল আমদানি ব্যয়ের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি এ মন্তব্য করেন। রাব্বানী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “কিছুদিন ধরেই আমি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দেখছি যে, বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বেড়ে যাওয়া এবং সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির দায় এড়াতে আমদানিকারক ও মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আমি সয়াবিন তেলের পাইকারি মূল্য যাচাই করার জন্য জাস্ট কিউরিওসিটি থেকে গতকাল পরিশোধিত সয়াবিন তেলের পাইকারি মূল্য পরীক্ষা করার জন্য গ্লোবাল কারেন্সি ইমপোর্ট কমোডিটিকে ইমেল করেছি। মেইল ঠিকানা: [ইমেইল সুরক্ষিত] আমি তাদের উত্তর থেকে জানতে পেরেছি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র( United States ) থেকে পরিশোধিত তেলের দাম প্রতি মেট্রিক টন (১০০০ লিটার) ৬৫০ ডলার, অর্থাৎ, ৬৫০×৮৬ = ৫৫.৯০ টাকা, প্রতি লিটার মূল্য – ৫৫ টাকা ৯০ পয়সা। রব্বানী হিসেব করে লিখেছেন, এর সাথে প্রতি মেট্রিক টন শিপিং খরচ – গড়ে ৬৫ ডলার, অর্থাৎ (৬৫×৮৬) = ৫৫৯০ টাকা, প্রতি লিটার – ৫ টাকা ৬৯ পয়সা। মাদার ভেসেল থেকে লাইটার এবং লাইটার থেকে নির্ধারিত জেটিতে গড় লোডিং-আনলোডিং খরচ প্রতি লিটারে ৫ টাকা।
বোতলজাতকরণ বা প্যাকেজিংয়ের সর্বোচ্চ খরচ প্রতি লিটার ১০ টাকা। চট্টগ্রাম ( Chittagong ) থেকে বাংলাদেশের ( Bangladesh ) যে কোন প্রান্তে পরিবহন খরচ – প্রতি লিটার সর্বোচ্চ ৫ টাকা। পরিশোধিত ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক – প্রতি মেট্রিক টন ১৪ শতাংশ হিসেব করলে ৭৮২৬ টাকা দাঁড়ায়। এর সাথে, আমদানিকারকের (১০টাকা), ডিপো (৫টাকা), ডিলার (৫ টাকা), পাইকারী (৫ টাকা), খুচরা (১০ টাকা) লাভের হিসাব নিয়ে যদি আমরা লিটার প্রতি আরও ৩৫ টাকা যোগ করি, তাহলে প্রতি লিটার তেলের দাম, গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো প্রযন্ত্য দাঁড়ায় ৫৫.৯০+৫.৫৯+৫+১০+৫+৭.৮০+৩৫ = ১২৪.২৯ টাকা।
ছাত্রলীগ ( Chhatra League )ের সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক আরও লিখেছেন, “সয়াবিন তেল রপ্তানিকারক থেকে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত সব খরচ বহন করে এবং সম্ভাব্য মুনাফা যোগ করলেও লিটার প্রতি ১২৫ টাকায় পৌঁছানো সম্ভব। শুধু দরকার ইতিবাচক মানসিকতা, আত্ম-ইচ্ছা, সততা এবং দেশপ্রেম।
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের ভিতরে অল্প সময়ের ব্যবধানে কয়েক দফা মুল্য বৃদ্ধির ঘটনা জনজীবনে বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি করেছে। এই তেল আমদানীকারকদের সমস্যা জনিত কারনে এইভাবে তেলের অস্বাভাবিক মুল্যের বৃদ্ধির উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা। তবে এটি এই তেলের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নৈতিকতার অবক্ষয়কে দায়ী করেছেন সাবেক ছাত্রলীগ ( Chhatra League ) নেতা গোলাম রাব্বানী ( Golam Rabbani )। তিনি আরো বলেন আমদানীকারকের হাত থেকে ভোক্তার হাতে পৈাঁছাতে ১২৫ টাকা দরে বেচলেও তেল ব্যাবসায়ীদের মুনাফা অর্জনের সমতা বজায় থাকবে বলে মন্তব্য করেন গোলাম রাব্বানী।
Dear Mr. Golam Robbani Vhai,
I have some offer soybean oil or you & I will solve Soybean oil problem for you If have time to call me then I will discuss with you. Not only soybean oil other food products. I am living in Europe like to discuss your future food crises. Please call me or send an e-mail then I will call you be WhatsApp or Viber or IMO.