জনপ্রিয় সংসদ সদস্য শামীম( Shamim ) ওসমান, রাজনৈতিক জীবনে অনেক সংগ্রাম ও আলোচনা সমালোচনা পেরিয়ে আজকের এ পর্যায়ে এসেছেন। তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কর্মী। আমরা দেখেছি কতটা মানবতাহীন নি”র্যা/তন চালিয়েছে একটি রাজনৈতিক দল। এখনো পর্যন্ত আমাদের অনেক কর্মী বহন করে চলেছেন সেই প্রমান, অনেকে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমিও বহুবার আক্রমণ করা হয়েছে। আমি দেখেছে রাজনৈতিক উত্থান পতন।
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম( Shamim ) ওসমান বলেন, কঠিন সময়ে যারা মাঠে থেকে অভ্যস্ত তারাই হাল ছাড়েন না। মাঠের মধ্যে রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, হারিকেনের পথ পাড়ি দিয়ে আমরা এতদূর এসেছি। হাইওয়ের সবচেয়ে কঠিন সময়ে, আমি গতিতে এগিয়ে চললাম। আমি তাদের পছন্দ করি যারা মূলত রাজপথ থেকে সৃষ্ট, যদিও তারা আমার বিপক্ষে। আমাদের সকলের এক হওয়ার সময় এসেছে। অন্তত হাইব্রিড মোশতাকের বংশধর নয়। মুখে মুখে অনেক কিছু বলা যায়।মুখ দিয়ে জয় বাংলা বলা যায়। তবে সময়মতো তিনি রাজপথে নামবেন কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। সময়ই বলে দেবে কে জীবন দিবে, আর কে সুবিধা ভোগ করবে।
শনিবার বিকেলে( afternoon ) নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ চত্বরে জেলা পরিষদ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের ( Metropolitan Awami League ) সভাপতি আনোয়ার হোসেনের( Anwar Hossain ) সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-২ ( Narayanganj-2 ) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ( Nazrul Islam Babu ) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম( Shamim ) বেপারী।
শামীম ওসমান আরও বলেন, আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জে রাজাকারদের কোনো স্থান নেই। স্বাধীনতা বি’রোধী শক্তি জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রথম ডাক দিয়েছিলাম। এরপর ২০০১ সালের ১৬ জুন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বো’/মা হা’ম/লায় ২০ জন প্রয়াত হন। আমার বন্ধু চন্দন শীল ও রতন দাস দুই পা হারিয়ে আজ পঙ্গু। বো’/মার স্প্লি’ন্টারে আমিসহ অনেকেই আ’হ/ত হয়েছি। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর বললাম, শেখ হাসিনাকে বাঁচাও। কারণ শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগের সম্পদ নয়, জনগণেরও সম্পদ।
তিনি বলেন, বো’/মা হা’ম’লার পর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জাতির জনকের পরিবারকে রক্ষা করার জন্য একটি আইন পাস করতে বো’/মা হা”মলা চালানো হয়েছে, বলে মন্তব্য করেন। ১৯৮১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত এই হাত দিয়ে আমরা ৪৯ জন নেতাকর্মীকে কবর দিয়েছিলাম। মনির নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। মনিরের লাশ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নিয়ে গিয়ে আবারও গু’/লি করা হয়। শরীরের ভেতর থেকে ৭০টি গু’/লি ছোড়া হয়। এই দৃশ্য দেখলাম।
তিনি একজন নারী এমপির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আজকাল যাদের দেখি সবাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন। কোটি কোটি টাকার সম্পদ থাকলেও আয়কর ফাইলে ১০ লাখ টাকাও নেই।
শামীম ওসমান আরো জানান, আজকে আমাদের অনেক সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনেক ভাবে আমাদেরকে নিয়ে কটু’ক্তি করে। তাদেরকে বলে দিতে চাই, আপনারা কতটা সাধু ব্যক্তি, বাংলাদেশের জনগণ জানে। জাতির সম্পদ শেখ হাসিনাকে পর্যন্ত আপনারা রেহাই দেন নি, তার উপরেও চালিয়েছিলেন গ্রেনেড হামলা। তার পরেও আওয়ামী লীগ এখনো টিকে আছে, কারণ আওয়ামীলীগ বাংলাদেশের জনগণের সংগঠন।