বিশ্বের ভোজ্য চার প্রকার তেলের মধ্যে পাম ওয়েলের দাম তুলনামুলক ভাবে অনেকটা মধ্যেম আয়ের ব্যাক্তিদের ক্রয় সীমার মধ্যে থাকায় বেশি জনপ্রিয় এশিয়া প্রধান দেশ গুলোর মধ্যে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের( Ukraine ) ভিতরে বিদ্যমান সংঘা”তকে কেন্দ্র করে এই ভোজ্য পন্যের দাম হু হু করে বাড়ার কারনে স্বাভাবিক নাগরিকদের বিপাকের ভিতরে পড়তে হচ্ছে। যেহেতু এই ভোজ্য তেলের একটা বড় ধরনের অংশের আমদানীর সাথে রাশিয়া সম্পৃক্ত তাই তেলের বাজারের এই ধরনের সংশয়পুর্ন সংকটের সৃষ্টি হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের( Ukraine ) সাথে সামরিক অভিযান শুরু করে। এই ক্ষেত্রে, আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে রাশিয়ার উপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় প্রভাব। এরপর থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ছে। এই সংকট চলতে থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম দেড়শ মার্কিন ডলারে বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ১১৮.১ডলারে বেড়েছে, যা ২০১৩ সালের( year ) ফেব্রুয়ারির পর থেকে সর্বোচ্চ। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে( United States ) ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট -ডব্লিউটিআই( WTI ) ব্যারেল প্রতি ১১৫.৭ ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা ২০০৮ সালের( year ) পর সর্বোচ্চ স্তর। বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে ইরানের( Iran ) তেল দিয়ে রাশিয়ার ঘাটতি মেটাতে পারবে না। সৌদি আরবের( Saudi Arabia ) পর রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক দেশ। তারা প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ লাখ ব্যারেল তেল রপ্তানি করে। ফলস্বরূপ, মস্কোতে( Moscow ) জ্বালানি রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে তেলের অমানবিক এই উর্ধ্বগতির জন্য বিশ্লেষকরা ইউক্রেন রাশিয়ার( Ukraine Russia ) সংঘা”তকে দায়ি করছে। সমগ্র বিশ্বের ভিতরে তেল রপ্তানীর জন্য রাশিয়া একটি গুরুত্বপুর্ন স্হান দখল করে বসে আছে। তাদের এই অবস্থানে ঘাটতি ইরানের( Iran ) পক্ষে মেটানো কোন ভাবেই সম্ভব না। কারন সমগ্র বিশ্বে তেল রপ্তানীকারক হিসেবে একনম্বর অবস্থানে রয়েছেন সৈাদি আরব ( Saidi Arab ) এবং তার পরেই রাশিয়ার ( Russia ) অবস্থান। তাই রাশিয়ার ( Russia ) উপর আরোপিত জ্বালানি তেল রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হলে তেলে বাজার মুল্য রেকর্ড করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।