লোভে পড়ে জীবনকে অনিচয়াতায় ফেলার কোন মানে নেই। বাংলাদেশ থেকে অনেক বাঙ্গালি প্রতি বছর বিদেশে যায় টাকা উপার্জন করতে। বিদেশে গিয়ে বৈদেশিক অর্থ উপার্জন করে দেশে পাঠায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা। ইউরোপের( Bangladeshis. Europe ) অনেক দেশে সরাসরি প্রবেশ করা যায় না বৈধভাবেও। বেশি টাকা উপার্জনের লোভে অনেকে অবৈধ পথ বেছে নেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দেশটিতে গিয়ে অনেক সময় পড়ে যায় বিপাকে।
গোপালগঞ্জের মো. শামীম( Md. Shamim ) রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে পড়তেন। ইউরোপে যাওয়ার জন্য স্কুল ছেড়ে দেন। অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে লিবিয়ায় আটক হওয়ার পর যে নি”র্যা/তন ও দুর্ভোগের শি’কার হয়েছেন তার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আর কোনো বাংলাদেশি অবৈধভাবে ইউরোপে যাবেন না, প্রয়োজনে দেশেই ভিক্ষা করে খাবেন।
এর পরে যাবেন না। মাটির নিচে অন্ধকার কবরের মতো জায়গায় আমি গত ৯ মাস বন্দি ছিলাম। আলো-বাতাস ছিল না।
কেঁদে কেঁদে শামীম( Shamim ) বলেন, দিনে অর্ধেক রুটি খেতাম। এক গ্লাস পানি দাও। তাদের বিভিন্ন পোকামাকড় এবং মাকড়সা ছিল। বেঁচে থাকার জন্য এগুলো খেয়েছি। এমনকি আমি আমার নিজের প্রস্রাব খেয়েছি। ভয়ে খাবার চাইতে পারিনি। কারণ লিবিয়ান ও বাংলাদেশের( Bangladesh ) দালালরা খাবার চাইলে একে অপরকে মেরে ফেলত। অকারণে প্রতিদিন মা’রতেন।
শামীম( Shamim ) বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ছিল। তারা ২৪ ঘন্টা কামড়ায়। তাদের মধ্যে অনেক, এত বেশি যে আমাদের কিছুই করার ছিল না। আমাদের সারা শরীর পোকামাকড় খেয়ে ফেলে।
আহমেদ বলেন, পৃথিবীতে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে অবৈধভাবে ইউরোপে গিয়ে নি’র্ম/মতার সম্মুখীন হতে হয়। দালালরা আমাদের প্রলোভন দেখিয়ে এভাবে নিয়ে গেছে। আর এই ভ”য়ানক মৃ”ত্যুর পথে যেন কেউ না যায়।
চার থেকে নয় মাস বন্দি থাকার পর গত বৃহস্পতিবার ফিরে আসা ১১৪ জনের মধ্যে সবারই একই অবস্থা। সবাইকে একই জায়গায় ব’ন্দী করা হয়। সবার উদ্দেশ্য ছিল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে লিবিয়া হয়ে ইউরোপের দেশ ইতালিতে যাওয়া। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) তাদের লিবিয়া থেকে বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় নিয়ে আসে। তাদের শারীরিক অবস্থা খারাপ এবং বিভিন্ন রোগের উপসর্গ থাকায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের হজ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবৈধ পথে বিদেশে যেতে গিয়ে অনেকে প্রয়াত হয়েছেন এমন সংবাদ আমরা গনমাধ্যমে প্রায়শই দেখতে পাই। তাই লোভে না পড়াই ভালো যারা অনেকে না জেনে শুনেই এমন অবৈধ উপায়ে বিদেশে পাড়ি জমান। মোঃ শামীম বলেন, তার মত এমন ভুল আর কেউ যেন না করে। জীবন-মৃ”ত্যুর সন্ধিক্ষনের যন্ত্রণা কি তা শামীম টের পেয়েছে যেটা তিনি সারা জীবনে সারা জীবনেও ভুলবেন না।