হেফাজত ইসলামী( Hefazat-e-Islami ), বাংলাদেশের( Bangladesh ) কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক একটি অর্গানাইজেশন। এই অর্গানাইজেশনটি জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশে ইস’লামিক শাস’নতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আ’ন্দোলনমূখী কার্যক্রম পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত। সম্প্রতি বাংলাদেশের( Bangladesh ) শিক্ষাক্রমের একটা পরির্বতনের বিষয়কে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই অর্গানাইজেশনের সভাপতি আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ( Allama Muhibbullah ) বাবুনগরী। পাশাপাশি শিক্ষাক্রমের এই পরিবর্তনের প্রস্তাব পরিবর্তনের দাবিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ ( Allama Muhibbullah ) বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমান( Allama Sajidur Rahman ) নতুন পাঠ্যসূচিতে ২০২২ সালের( year ) এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষার বিষয় বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তারা বলেন, এসএসসি পরীক্ষা থেকে ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ দেশ থেকে ধীরে ধীরে ইসলামি চেতনা মুছে ফেলা এবং না’স্তিক্যবাদী ধ্যান-ধারণা ছড়ানোর ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। ৯২% মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে এ ধরনের সিদ্ধান্ত জাতি কখনোই মেনে নেবে না। আমরা এই সুপারিশ অবিলম্বে বাতিলের জোর দাবি জানাই।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শিক্ষার লক্ষ্য শুধু রুজি-রোজগারের জন্য জ্ঞান অর্জন ও প্রশিক্ষণ নয়, শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য-নৈতিকতা, শালীনতা, মানবতাবাদ, ন্যায়পরায়ণ দেশ ও সমাজ গঠন এবং জ্ঞান অর্জন ও প্রেরণা। সৎ জীবন যাপন করা। আর এ সব অর্জন করতে হলে ধর্মীয় শিক্ষা ও তার চর্চাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।
এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা বলেন, এসএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় শিক্ষা না থাকলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে বিষয়টির কোনো গুরুত্ব থাকে না। তাহলে ধর্মীয় শিক্ষা তার প্রাসঙ্গিকতা হারাবে। এভাবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ইসলাম থেকে দূরে সরে নাস্তিক ধ্যান-ধারণা ছড়াবে। দেশে মা”দক পা’চার, খু”/ন, অপরাধ, নারীদের সাথে খারাপ কাজ ও নারী নি’/পীড়ন বাড়বে। পারিবারিক ও সামাজিক ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
তারা এসএসসি পরীক্ষায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধর্মীয় আচার-আচরণ ও নীতি-নৈতিকতা থেকে দূরে সরে আত্মকেন্দ্রিকতা ও ভোগবাদের দিকে ঝুঁকে পড়বে। পুঁজিবাদের বাজার যত প্রসারিত হবে, শোষণ ও লু”টপাট তত গভীর হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের শিক্ষাক্রমে এসএসসি সমমান পরীক্ষায় ধর্ম এবং নৈতিক শিক্ষার অংশ বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গটি প্রস্তাবিত হয়েছে। শিক্ষা মানুষকে শুধু খাদ্য সংগ্রহের কাজেই সহায়তা করে না বলে মন্তব্য করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃত্তদানকারি সবাই বলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত্য ভবিষ্যত প্রজন্মের নৈতিকতার উপর বিরুপ প্রভাব ফেলবে। এর ফলে আগামী প্রজন্মের মুল্যবোধের অবক্ষয় সহ দেশের নৈরা’জ্যের বিস্তার লাভ করবে। তাছাড়া যে দেশের ৯২% মানুষ মুসলিম সেই দেশের মানুষও এই সিদ্ধান্ত কখনোই মেনে নেবে না বলে সামাজিক গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে মন্তব্য করেন দলটির নেতাকর্মীরা।