ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়ম, জালিয়াতি, হয়রানিসহ অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর( Nasirnagar Brahmanbaria )( Nasirnagar ) উপজেলার ভলাকুট ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আলমগির মিঞা চৌধুরী ও তার সহকারি একেএম মনির ( AKM Monir ) হোসেন। তারা ঘুষ নানীয়ে কোন কাজ করে না। সাম্প্রতিক সময়ে তাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কাড়ন দর্শানো নোটিশের জবাব দিতে বালা হয়েছে আগামী তিনদিনের মধ্যে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ( Nasirnagar ) উপজেলার ভালকুট ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) আলমগীর মিয়া চৌধুরী( Alamgir Mia Chowdhury ) ও তার সহকারী একেএম মনির ( AKM Monir ) হোসেন ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ করেননি।
সম্প্রতি তার ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে( Thursday afternoon )( afternoon ) স্থানীয়রা মানববন্ধনের আয়োজন করে।
তহসিলদারের বিরুদ্ধে অনিয়ম, ঘুষ, দুর্নীতি, হয়রানি, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। ভূমি অফিসের মোড়ে সাধারণ মানুষকে তহসিলদারের (নিজস্ব আইন) ব্যবস্থা মেনে চলতে হয়। কেউ প্রতিবাদ করলেই ভূমি কর্মকর্তা সেবা নিতে আসা লোকজনকে লক্ষ্য করে স্থানীয় সংগঠিত একদল দালালকে ছুড়ে মারে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে ভালকুট ইউনিয়নের ভালকুট গ্রামের শশিম আহমেদ ( Shashim Ahmed ) অভিযোগ করেন, তাকে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়েছে। ৭/৮ হাজার টাকার পরিবর্তে সাধারণ নামজারির জন্য সরকার ( Government )ি ফি ১১৭০ টাকা। লিখিত অভিযোগে তার বিরুদ্ধে নথি জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
একই এলাকার মো. আবু তাহের মিয়া ( Md. Abu Taher Mia ) বলেন, আমি তিনটি নথি একসঙ্গে রাখতে গিয়েছিলাম। আমার কাছে ৯ হাজার টাকা চাওয়া হয়। এত টাকা দেখে খারিজ করিনি।
আরেক ভুক্তভোগী মো. উঙ্গু মিয়া( Md. Ungu Mia ) বলেন, দুই জায়গায় রিজেক্ট করতে গেলে ১৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। এত টাকা দেখে তখনও খারিজ করিনি।
তাদের মতো একই অভিযোগ নিয়ে ভূমি অফিসে আসা বেশিরভাগ মানুষ। নাম প্রত্যাখ্যানের ক্ষেত্রে, সরকার( Government ) কর্তৃক নির্ধারিত ফি হল রুপি।
দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে বিভিন্ন অজুহাতে জমির মালিকদের হয়রানি করে। ৩ মার্চ বিকেলে উপজেলার ভালকুট বাজারে তহসিলদার আলমগীর মিয়া চৌধুরী( Alamgir Mia Chowdhury ) ও তার সহকারী একেএম মনির( AKM Monir ) হোসেনের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন ভুক্তভোগীরা।
সম্প্রতি তার ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কাকে টাকা দিতে হবে তার বর্ণনা দেন তিনি।
ভিডিওতে তিনি বলেছেন, সিস্টেম চলে গেছে। সিস্টেমের জন্য হে অত হে অত… এক পর্যায়ে তিনি বলেন, সরকার আইন প্রণয়ন স্টাইলে আইডা।
ঘুষের বিষয়ে জানতে চাইলে তহসিলদার আলমগীর মিয়া চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করেন। ভিডিওটির কথা বলতে গিয়ে তিনি বললেন অসম্ভব। এমন কোন ভিডিও নেই। পরে তিনি ভিডিওটি দেখালে তিনি নিশ্চিত করেন যে তিনি ওই ভিডিওর ব্যক্তি। তার দাবি এখানে ছেঁটে ফেলা হয়েছে।
নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মেহেদী হাসান খান শাওন লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি তার ভিডিও শুনেছি, যা আমাদের অফিসের জন্য খুবই বিব্রতকর।
বাংলাদেশ ভূমি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির আলমগীর-হেলাল-মুজিব পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি পদে প্রার্থী হচ্ছেন ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) আলমগীর মিঞা চৌধুরী। তার গ্রামের বাড়ি সরাইল উপজেলার শাহবাজপুরের দেওড়া গ্রামে। তিনি বর্তমানে মধ্য মেড্ডায় তার ফ্ল্যাটে থাকেন। একই ভবনে তার একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রতিটি ফ্ল্যাটের আনুমানিক মূল্য ৪০-৫০ লক্ষ টাকা।
এই তিন দিন আলমগীর মিঞা চৌধুরী অফিসে কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। বর্তমানে সময়ে বাংলাদেশে দুর্নীতির হার ব্যপকভাবে বেড়ে গেছে। তার প্রমাণ মেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাধীন ভলাকুট ইউনিয়ন এলাকার ভূমি অফিসে। আলমগির মিঞা চৌধুরীর ঘুষের বিষয়টি ঐ এলাকায় আলোচনা সমালোচনা চলছে।