একটা সময় ছিল যখন খুলনার( Khulna ) নামটার সাথেই জড়িয়ে ছিল এরশাদ শিকদারর নাম, না ভালো কোন বিশেষনে তাকে বিশেষিত করা হতো না, ঘাটের সামান্য কুলি থেকে জীবন শুরু করে, বিশাল বিত্ত বৈভবের মালিক বনে যাওয়া এরশাদ শিকদার ছিলেন খুলনার( Khulna ) ঘাট এলাকার ত্রাস । তবে সেটা ৯০ দশকের কথা হলেও, আজও এরশাদ শিকদারের( Ershad Sikder ) নাম জানা এই প্রজন্মের অনেকের।
খুলনার( Khulna ) সেই কুখ্যাত সন্ত্রা’সী এরশাদ সিকদারের মেয়ে জান্নাতুল নওরীন এশা (২২) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।( police. ) মৃত্যুকে আত্মহ’ত্যা বলে দাবি করেছে তার পরিবার। শুক্রবার( Friday ) সকালে( morning ) রাজধানীর গুলশানের সুবাস্তু টাওয়ারের নবম তলার ফ্ল্যাটে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে মেয়ের অকাল মৃ’ত্যুর ঘটনায় বাবা এরশাদ সিকদারের অতীত কুখ্যাতি আবারও উঠে এসেছে।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার( Friday ) (৪ মার্চ( March )) ভোরে( morning ) জান্নাতুল নাওরিন( Jannatul Naorin ) এশাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে( Dhaka Medical College Hospital ) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে( night )র কোনো এক সময় তিনি ঝুলে পড়েন। তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি সিটি কলেজ( City College ) থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। গুলিস্তান শাহজাদপুর( Gulistan Shahjadpur ) সুবাস্তু টাওয়ারে মা সানজিদা নাহার শোভার সঙ্গে থাকতেন তিনি। একটি ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার( Thursday ) (৩ মার্চ( March )) সন্ধ্যায় দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। রাতে( night ) মায়ের সাথে খাওয়া শেষে এশা তার ঘরে ঘুমাতে যায়। সকালে( morning ) মা শোভা তাকে অনেক ডাকে। কিন্তু তিনি দরজা খুলছিলেন না। পরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে এশাকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না ঝুলতে দেখা যায়। এ সময় তার দুই হাত ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলা হয়। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে( Dhaka Medical College Hospital ) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিজেকে এরশাদ সিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী পরিচয় দিয়ে জান্নাতুলের( paradise ) মা সানজিদা নাহার বলেন, জান্নাতুল এরশাদ সিকদারের( Jannatul Ershad Sikder ) মেয়ে। প্রেমিককে ভিডিও কলে ফেলে রেখে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহ’ত্যা করেন জান্নাতুল।
তবে কিভাবে জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে সঞ্জিতদা নাহার( Sanjitada Nahar ) কিছু বলেননি
সূত্র জানায়, এরশাদ সিকদার ছিলেন খুলনার( Khulna ) কুখ্যাত খুনি। ১৯৯৯ সালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার নামে ৪৩টি মামলা বিচারাধীন ছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগই খুনের মামলা। নিম্ন আদালত সাত খুনের মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ২০০৪ সালের( year ) ১০ মে মধ্যরাতে( night )( May midnight ) খুলনা জেলা কারাগারে তার ফাঁসি হয়। এরশাদ সিকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী সানজিদা আক্তার( Sanjida Akhter ) শোভা। শোভার কন্যা জান্নাতুল নাওরিন( Jannatul Naorin ) এশা। শোভা খুলনার( Khulna ) মেয়ে। তিনি একজন আইনজীবীর স্ত্রী ছিলেন। পরকীয়ায় জড়িয়ে এরশাদ সিকদারকে বিয়ে করেন। এরশাদ সিকদারের ফাঁ’সি কার্যকর হওয়ার পর শোভাকে এরশাদ সিকদারের বাড়ি স্বর্ণকমল থেকে তার প্রথম স্ত্রীসহ অন্যরা বের করে দেয়। এরপর কিছুদিন খুলনায় পার্লার ব্যবসা করেন। এরপর তিনি ঢাকায়( Dhaka ) চলে যান। অন্যদিকে এরশাদ সিকদারের প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগমের( Khodeja Begum ) তিন সন্তান রয়েছে। তারা বর্তমানে এরশাদ শিকদারের( Ershad Sikder ) রেখে যাওয়া সম্পত্তি দখল করে আছে।
এরশাদের( Ershad ) ঘটনা সময়ের ব্যবধানে মানুষ ভুলতে বসলেও, আজ হঠাৎ তার মেয়ের ঘটনায় মিডিয়া উঠে এসেছে এরশাদ শিকদারের( Ershad Sikder ) নাম ।