গত( Past ) বেশ কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি( Bangladesh Film Artists Association ) নির্বাচনকে ঘিরে শিল্পীদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিতর্কের সৃষ্টি হয়। জয়েদ সাধারন সম্পাদক পদে বিজয়ী হলে নিপুণ আদালতের দ্বারস্থ হয় এবং আদালত তাকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। তারপর আবার জায়েদ( Zayed ) আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে অভিযোগ করে এবং হাইকোর্ট জায়েজকে আবার বিজয়ী ঘোষণা করেন। এসকল কর্মকাণ্ড নিয়ে নানা মতবেধ সৃষ্টি হয় শিল্পীদের মধ্যে। এক পর্যায়ে নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনও পদত্যাগের চিন্তায় চলে যান।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) এমনটাই জানিয়েছেন শুভ অভিনেতা ও সংগঠক।
দুপুরে এফডিসিতে ট্র্যাপ: দ্য আনটোল্ড স্টোরি শিরোনামের নতুন সিনেমায় অভিনয়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
ইলিয়াস কাঞ্চনের( Kanchan ) মন্তব্য, আমি চলচ্চিত্রের মানুষ। আমি নিজে থাকি বা না থাকি, আপনারা এই শিল্পকে রক্ষা করুন। এটা সবার কাছে আমার অনুরোধ। আমি বিরক্ত। গত( Past )কাল ভাবলাম, এখানে আসলাম কেন! পদত্যাগ করার কথা ভাবছিলাম। মনে হয়েছিল পদত্যাগই আমার জন্য কাম্য। কারণ আমি এসব পছন্দ করি না।
এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চনের( Kanchan ) পাশে ছিলেন জায়েদ খান। হাইকোর্টে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্বহাল হওয়ার পর জায়েদের সঙ্গে প্রথম দেখা করেন ইলিয়াস কাঞ্চন।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে হাইকোর্টের রায়ের পর নাটকীয় আঙিনায় পরিণত হয় এফডিসি। সব নজিরবিহীন ঘটনা চলে গেছে। জায়েদ খান চাইলেও সমিতিতে ঢুকতে পারেননি। কারণ সেখানে তালা ঝুলানো হয়েছে। জায়েদ ও নিপুণ গ্রুপের শোডাউন চলছে। সন্ধ্যায় শুরু হয় পুলিশের( police ) ধাওয়া।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ ইলিয়াস কাঞ্চন পদত্যাগের কথা ভাবছেন।
কাঞ্চন বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা সবাই মিলে চলচ্চিত্রে এই পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। নির্বাচনের আগে থেকেই বলে আসছি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সম্পৃক্ত থাকব। সিনেমার শুরু ও মুক্তির সময় প্রচারণায় অংশ নেব। ব্যস্ততার মধ্যেও অপু( Apu ) বিশ্বাস-জয় চৌধুরীর( Chowdhury ) নতুন সিনেমায় জায়েদ খানের( Zayed Khan ) সঙ্গে হাজির হয়েছি।
উল্লেখ্য, এসকল কর্মকাণ্ডের কারণে এফডিসির অবস্থা সামনে বেগতিক হতে পারে বলে ধারনা করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের ধরনা মতে দিনে দিনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র থেকে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। ভারত বাংলা ও হিন্দি সিনেমার উপর দর্শকেরা বেশি ঝুঁকছে। এমন সময় দর্শকদের ভালো কিছু উপহার না দিতে পারলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র তলিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন তারা। এফডিসির এমন দূর সময়ে পদ নিয়ে বেশি কোলাহল সৃষ্টি না করে সিনেমা নির্মাণের উপর বেশি জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।