জনগণের সমালোচনা থাকলেও, সব সমালোচনার ভেতর দিয়ে কুমিল্লা ( Comilla ) নির্বাচনে সফলতার সহিত কাজ করতে যাচ্ছে নবগঠিত নির্বাচন কমিশন। নবগঠিত কমিশন নিয়ে সন্তুষ্ট কুমিল্লা ( Comilla )বাসী। তারপরও সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে সংশয় চলে যাবে কিনা সেটা নিয়ে নির্বাচন কমিশন এখনো চিন্তিত। সিইসি ( CEC ) জানান তফসিল ঘোষণা করার পরপরই বিভিন্ন দলের নেতা যারা রয়েছেন তাদের অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে পারবে।
কুমিল্লা( Comilla ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনও প্রয়াত কে এম নুরুল হুদার ( KM Nurul Huda ) নির্বাচন কমিশনের (Election Commission ) ইসি ( EC ) মতো কাজী হাবিবুল ( Kazi Habibul ) আউয়ালের নেতৃত্বে গঠিত নতুন ইসি ( EC )র প্রথম পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। নুরুল হুদার( Nurul Huda ) ইসি ( EC ) নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার পরও তারা প্রথম পরীক্ষায় সফল।
পাঁচ বছর আগে ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। বিএনপি এবার দলীয় প্রার্থী দেবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।সেক্ষেত্রে এই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আগে অংশগ্রহণমূলক করা নতুন ইসি ( EC )র জন্য চ্যালেঞ্জ।
বিএনপির( BNP ) জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন (Khandaker Mosharraf Hossain ) মঙ্গলবার( Tuesday ) কালের কণ্ঠকে বলেন, “আমরা এই সরকারের( government ) অধীনে কোনো নির্বাচন করব না। এই সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি। আমরা কয়েকদিন আগে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন( Narayanganj City Corporation ) ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বর্জন করেছি।
ইসি( EC ) সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লা( Comilla ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বেশি সময় নেই বলে গত( Past ) সোমবার প্রথম দিনেই নতুন কমিশনকে জানানো হয়।স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ( Helaluddin Ahmed ) গত( Past )কাল কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা নতুন ইসি( EC )র অপেক্ষায় ছিলাম। দু-একদিনের মধ্যে কুমিল্লা( Comilla ) সিটি নির্বাচনের অনুরোধ জানিয়ে আমরা ইসি( EC )কে চিঠি দেব।
আগামী ১৬ মে( May ) কুমিল্লা( Comilla ) সিটি কর্পোরেশন( City Corporation )ের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাঁচ বছরের মে( May )য়াদ শেষ হচ্ছে। স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন( City Corporation )) আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এমনিতেই গত( Past ) মাসের মাঝামাঝি থেকে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় শুরু হয়েছে।ইসি( EC ) সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শেষ ভোটের ৩৮ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। এবারও একই সময়ে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তবে এবার এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। রমজানের পর মে( May ) মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন করতে হলে রমজান শুরুর আগেই চলতি মাসের শেষের দিকে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। সেক্ষেত্রে রমজান মাসেও চলবে নির্বাচনী প্রচারণা।
কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লা( Comilla ) সিটিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। গত( Past ) নির্বাচনের আগে সীমানা ইস্যুতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। সেই রিট নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।কুমিল্লা( Comilla )র আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দুলাল তালুকদার( Md. Dulal Talukdar ) গত( Past )কাল কালের কণ্ঠকে বলেন, আমি যতদূর জানি, ইসি( EC ) সচিবালয়ের আইনি শাখা রিট পর্যালোচনা করে বলেছে, সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে নির্বাচন পরিচালনায় কোনো বাধা নেই। আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত. হালনাগাদ করা হয়েছে ভোটার তালিকাও। ইসি( EC )র সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।
কুমিল্লা( Comilla )য় নির্বাচনী হাওয়া: তফসিল ঘোষণা না হলেও কুমিল্লা( Comilla ) শহরে বইতে শুরু করেছে নির্বাচনী হাওয়া। বিএনপির( BNP ) প্রার্থীরা নীরব থাকলেও আওয়ামী লীগের( Awami League ) প্রার্থীরা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। দলের অন্তত ছয়জন সদস্য নানাভাবে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান। কেউ কেউ নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাঁটিয়েছেন।
২০১২ সালের( year ) ৫ জানুয়ারি( January ) অনুষ্ঠিত কুমিল্লা( Comilla ) সিটির প্রথম নির্বাচনে তিনি বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন এবং সুশীল সমাজের ব্যানারে একবার মে( May )য়র নির্বাচিত হন। মনিরুল হক( Monirul Haque ) ওরফে সাক্কু।
তিনি ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০০৫ থেকে বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও মেয়র ছিলেন। ২০১২ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা প্রয়াত আফজাল খান সাক্কুরের কাছে হেরে যান। ২০১৭ সালে তার মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমাও হারেন সাক্কুর কাছে হেরেছিলেন। সীমা বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য।
আগামী নির্বাচনে আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বর্তমান মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নুর-উর-রহমান মাহমুদ তানিম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান। আফজাল খানের ছেলে। কুমিল্লা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য কাউসার জামান।
মেয়র সাক্কু গনমাধ্যমকে বলেন, “তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থিতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব। আমি দুইবার বিএনপির মেয়র হলেও আমার কিছু সমর্থক আছে। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও তফসিল ঘোষণার পর জনগণ চাইলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
আরফানুল হক বলেন, সবকিছু নির্ভর করছে দল ও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের ওপর। নূর-উর-রহমান মাহমুদ বলেন, আশা করি, দল আমাকে নগরবাসীর সেবা করার সুযোগ দেবে। আনিসুর রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে আমি মাঠে ছিলাম। আশা করি দলের মনোনয়ন পাব। গত দুই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী আমার পরিবারকে মূল্যায়ন করেছেন,” বলেন মাসুদ পারভেজ। আবারো বলেন, আমি আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে। আমার পরিবারের কথা বিবেচনা করে নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলে আশা করছি।
কাউসার জামান বলেন, দল নির্বাচনে গেলে অবশ্যই নির্বাচনে যাব। আমার মাঠ পরিপাটি।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সারোয়ার জাহান ভূঁইয়া দোলন বলেন, আমাদের দল এই সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে যাবে না। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মীদের কোনো আগ্রহ নেই। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী।
সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে আমরা সব সময় ভোট কারচুপির শিকার হয়েছি। সুষ্ঠু ভোট আমরা এখনও পর্যন্ত পাইনি। দল থেকে আমরা যদি অনুমতি পাই, আমি নির্বাচনে যাব। যারা ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে যেতে আগ্রহী, তারা যদি নিজ উদ্যোগে নির্বাচনে যায়, তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।