Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / International / ২ টাকার একটি কয়েনের দাম ৫ লক্ষ টাকা

২ টাকার একটি কয়েনের দাম ৫ লক্ষ টাকা

আমাদের ভিতরে অনেকেই আছেন, যারা শখের বশে পুরানো ডাক টিকেট কিংবা পুরনো মুদ্রা সংরক্ষন করেন। তাদের এই শখই অনেককে এনে দিতে পারে লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ, এমনটাই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ মাধ্যমে। সম্প্রতি ভারতের একটি মুদ্রার মূল্য যেটা উঠেছে সেটা নিয়ে প্রকাশিত একটি সংবাদ আলোচনায় এসেছে।

কেউ কেউ কেনাকাটার সময় ১ বা ২ টাকার কয়েন নেন না বরং অন্য কিছু নিয়ে যান। আশ্চর্যজনক তথ্য হল, পুরনো দিনের সেই কয়েন জমা করেই আপনি পেতে পারেন কয়েক লক্ষ টাকা। আপনার কাছে ভারতের ২ টাকার কয়েন থাকলে কয়েক লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে কয়েন থাকলেই হবেনা। বিশেষ কয়েন থাকতে হবে।

১৯৯৪ সালে তৈরি মুদ্রার পিছনে রয়েছে ভারতীয় তেরঙ্গা। Quickr ওয়েবসাইটে এই কয়েনের দাম বলা হয়েছে ৫ লাখ টাকা! শুধু এই ওয়েবসাইট নয়, এই ধরনের অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলি বিভিন্ন ধরনের নোট এবং কয়েনের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের অর্থ অফার করছে। ভারতের স্বাধীনতার আগে রানী ভিক্টোরিয়ার ছবি সম্বলিত কয়েন বিক্রি হতো ২ লাখ টাকায়। ১৯৯৮ সালে পঞ্চম জর্জের সময় থেকে একটি মুদ্রা বিক্রি হয়েছিল ৯ লাখ টাকায়। CoinBazzar ওয়েবসাইটটি বিভিন্ন ধরনের নোট এবং কয়েনও বিনিময় করে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) সতর্ক করেছে যে অনলাইনে পুরানো কয়েন বা টাকা কেনার সময় কেউ প্রতারিত হবেন না। অনেকে জাল টাকা আপলোড করে। কিছু লোক প্রতারণার জন্য RBI নাম বা লোগো ব্যবহার করে। তাই এ ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আরবিআই।

প্রসঙ্গত, বর্তমান যুগের আধুনিকতা ছড়িয়ে গেছে সবার মাঝে, তাই এখনকার বিশ্বের সিংহ ভাগ নাগরিকই অর্থ বহন করেন না বললেই চলে। অধিকাংশ মানুষই এখন ব্যাংক কার্ড ব্যাবহার করে থাকেন। এমন একটা মুহুর্তে কয়েনের প্রচলন খুবই বিরল বলা চলে। বিষেশ কিছু মুদ্রার এমন আকাশ ছোয়া মুল্য মানের কথা এবং এর সাথে সম্ভাব্য প্রতারনার কথা বিবেচনায় রেখে সতর্ক থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে আরবিআই।

About bisso Jit

Check Also

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় সাংবাদিকের অভিযোগ, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়া এবং সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দাবি তোলা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *