Sunday , December 15 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ঢাকার গাবতলীর হাটে উটের দাম বলতে বলতে বিরক্ত আমজাদ আলী

ঢাকার গাবতলীর হাটে উটের দাম বলতে বলতে বিরক্ত আমজাদ আলী

আসন্ন কোরবানী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য হাট বসেছে। এই সকল হাটে দেশি বিদেশি গরু ছাগল আনছে বিক্রেতারা। এদিকে, রাজধানী ঢাকা শহরের গাবতলীর হাটে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর অসংখ্য গরু ছাগল উঠানো হয়েছে। এই হাটে এবার উট উঠেছে এক ব্যবসায়ী। সেই উট দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভির করছে। তবে উটের দাম বলতে বলতে ব্যবসায়ী বিরক্ত হয়ে পড়ছেন। কারণ কেউ উট কেনার জন্য দাম দর করছে না। শুধুমাত্র দাম জানতে চায়।

ঢাকার গাবতলীর হাটে এবার শয়ে শয়ে গরুর সঙ্গে একটি উট রয়েছে। এখনও ক্রেতা না মিললেও দাম বলতে বলতে ক্লান্ত উটটির মালিক আমজাদ আলী।

আমজাদ আলী বলেন, “কী আর কথা বলবো ভাই, সারা দিনে অন্তত এক হাজার মানুষ শুধু দামই জিজ্ঞাস করে। কেউ তো আর কিনছে না। যারা বাজারে আসে সবাই দাম জিজ্ঞাসা করে। গরু-ছাগল যে যাই কিনতে আসুক, উটের দাম জিজ্ঞাস করে যায়।”

উটটি ২০ লাখ টাকার উপরে বিক্রি করতে চাইছেন আমজাদ। কিন্তু ১৫ লাখের উপরে এখনও দাম ওঠেনি।

আমজাদ আলী বলেন, আমি ২৫ লাখ টাকা চাই, ২২ লাখ টাকা হলেও ছেড়ে দেব। কেউ ১০ লাখ বলে, কেউ ১২ লাখ বলে, তিন-চারজন ১৫ লাখ বলে গেছে। দেখি কী হয়।

আমজাদ আলী বিরক্ত হলেও তার ছেলে হাসেম আলী হাসিমুখে উটের দাম বলে যাচ্ছেন। আর তা উপভোগও করছেন তিনি।

হাসেম আলী জানান, চার দিন হল এই উটটা বাজারে উঠাইছি। দিনে অন্তত পক্ষে ৫শ’ জন উটের দাম জিগায়। শোনার পরে মুচকি হাসি দিয়া যায়গা। আমি জানি হেরা উট কিনতে হাটে আহে নাই। কিন্তু তারা দাম জিগায় আমি উত্তর দেই। এইটা ভালা লাগে আমার।

তিনি জানান, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা থেকে ২০১৭ সালে তার বাবা এটিসহ নয়টি উট কিনেছিলেন। পরের বছর চারটি উট গাবতলীতে বিক্রি করেন। গত কয়েক বছরে বিক্রি করে এবং একটি উট মা”রা যাওয়ার পর অবশিষ্ট উটটি এখন বাজারে তুলেছেন।

হাসেম বলেন, এই উটের বয়স এখন সাত বছর। গোশত প্রায় ১০ মণ হবে। প্রতিদিন উটের জন্যে ৫০০ টাকার খাবার লাগে বলে জানান হাসেম। বুট, ভুষি ও ঘাস খাওয়ানো হয় একে।

উট মালিক আমজাদ হোসেনের বাড়ি গাবতলী গরুর হাটের পাশেই। তিনি বলেন, ২০১৭ সালের পরে আর উট আমদানি করতে পারিনি। পাকিস্তান ও ভারতে উটের দাম অনেক কম। সেখান থেকে উট আমদানি করতে পারলে পাঁচ-ছয় লাখের মধ্যে বিক্রি করতে পারতাম।

আমজাদ আলীর নিজের এগ্রো ফার্ম আছে। সেখানেই এই উট লালন পালন করে বড় করেছেন। দাম পেলে এই কোরবানির হাটেই উটটি বিক্রি করবেন। না হলে আবার খামারে ফেরত নিয়ে যাবেন।

এদিকে, রাজধানী ঢাকা শহরের গাবতলীর হাটে পশু কেনা বেচা বেড়ে চলেছে। অসংখ্য ক্রেতারা আগে থেকেই তাদের পছন্দের পশু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে এবারের ঈদে সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নিয়ম কানুন জারি করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে সেই সকল নিয়ম কানুন সঠিক ভাবে মানছেন না বলে অভিযোগ উঠছে। আর এবার হাটে উট উঠিয়ে আমজাদ আলী দাম বলতে বলতে বিরক্ত হচ্ছেন

About

Check Also

হাসিনাকে গার্ড করতে গিয়ে আমরা অশান্তি চাই না, ও দেশে ফেরত যাক

বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার পতন ঘটে। এর পর থেকে তিনি পার্শ্ববর্তী দেশ …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *