চলচ্চিত্র শিল্পী নির্বাচনের(Film artist election) ফল প্রকাশ হয়েছে। মন খারাপ(Upset) দিয়েই উদযাপন করলেন নিজের বিজয় কে জায়েদ খান(Zayed Khan)। যারা জিতেছে সভাবতই তাদের খুশি হওয়ার কথা। কিন্তু জিতলেও খুশি হতে পারলেন না জায়েদ খান(Zayed Khan)। তবে কেন সেটাই তো প্রশ্ন তবে প্রশ্নের উত্তরও রয়েছে তারই মাঝে। নিজের প্যানেলের মিশার(Misha) হেরে যাওয়াতে তার কষ্ট লাগবে এটাই স্বাভাবিক। কারন নিজে জিতলেও যার প্যানেলে কাজ করেছেন সেই হেরে গেছে
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির(Film Artists Association) সভাপতি(president) পদে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন(Ilyas Kanchan) এবং সাধারণ সম্পাদক(general secretary) পদে জায়েদ খান(Zayed Khan) জয়ী হয়েছেন। এ নিয়ে টানা তিনবার সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান।
ফলাফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান সাংবাদিকদের বলেন, আমি আবারও বলছি, এখানে কাজ করার চেয়ে ব্যক্তিকে টেনে নিয়ে যাওয়া বা ব্যক্তিকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা অনেক বেশি দুঃখজনক। আমি সত্যিই অনেক কাজ করেছি, নইলে শিল্পীরা কেন তৃতীয়বার ভোট দেবেন। ‘
জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, আগামীকাল থেকে সবকিছু এক। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। সবাই সবার পাশে দাঁড়াবে। ‘
সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ১৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মিশা সওদাগর পেয়েছেন ১৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান পেয়েছেন ১৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিপুণ আক্তার পেয়েছেন ১৬৩ ভোট।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুন গণমাধ্যমকর্মী ও প্রার্থীদের সামনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরু করেন। তিনি বলেন, ১০টি ভোট বাতিল হয়েছে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) ভোটগ্রহণ শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শুরু হয়ে শেষ হয় সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে।
শুক্রবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে ভোট গণনা শুরু হয়। কিন্তু তার আগেই ইন্টারনেটে গুজব ছড়িয়ে পড়ে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন আক্তার পরিষদ জয়ী হয়েছেন। সেই গুজব উড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ভোট গণনা করা হয়। এফডিসি চত্বরে সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হয়।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২৮ জন। তবে ভোট দিয়েছেন ৩৬৫ জন। মোট ভোট পড়েছে ৮৫.২৮ শতাংশ।
একটি প্যানেল থেকে অভিনেতা মিশা সওদাগর সভাপতি এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। অপর প্যানেল থেকে অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি ও অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪৪ জন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এবার নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন পীরজাদা হারুন(Peerzada Harun)। কমিশনের অপর দুই সদস্য হলেন জাহিদ হোসেন(Zahid Hossain) ও বজলুর রশীদ চৌধুরী(Bazlur Rashid Chowdhury)। আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছে পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানকে(Sohanur Rahman Sohan)। মোহাম্মদ হোসেন জেমি(Mohammad Hossain Jamie) ও মোহাম্মদ হোসেনকে(Mohammad Hossain) আপিল বোর্ডের সদস্য করা হয়েছে।
তিনবারের বিজয়ী জায়েদ খান। যদি কাজ না করে থাকতো তাহলে হয়তো তৃতীয়বারের মতো তাকে শিল্পী সমিতি সুযোগ দিত না। এবার দুঃখের সাথে বিজয় উদযাপন করলো সবাই মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সকলের পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। এখন সময়ের অপেক্ষা কাজের গতি কি রকম থাকে সেটা দেখার।