আজ ৭৩তম ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister Sheikh Hasina) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Prime Minister Narendra Modi) শুভেচ্ছা বার্তা প্রদনা করেছেন। এই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক রয়েছে। এবং নানা বিষয়ে একে অন্যের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে থাকে। এমনকি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনেও দেশটির অগ্রনী ভূমিকা রয়েছে।
অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, “বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে, আমি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে আপনাকে এবং ভারতের জনগণকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। ” গত বছর ছিল বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের জন্য একটি ঐতিহাসিক বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman) জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মার্চ মাসে আপনার (মোদির) ঢাকা সফরের কথা আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। এসব অনুষ্ঠানে আপনার (মোদীর) উপস্থিতি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। পাশাপাশি আমাদের চলমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুসংহত করেছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা তার অভিনন্দন বার্তায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, “১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত সরকার এবং জনগণ যে সমর্থন দিয়েছিল তা আমাদের অনন্য সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।” ১৯৭১ সালে যখন ভারত বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ৬ ডিসেম্বর বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবসের যৌথ উদযাপন এই বিশেষ সম্পর্ককে তুলে ধরে। শেখ হাসিনা আরও লিখেছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও আস্থার জায়গা আরও শক্তিশালী থেকে শক্তিশালী হয়েছে। আমাদের সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে, বিশেষ করে চলামন মহামারীর সময়ে।
টানা দুই মেয়াদে ভারতের সরকারের দায়িত্ব পালন করছেন নরেন্দ্র মোদি। এবং তিনি দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছেন। এমনকি তার নেতৃত্বে ভারত বিশ্ব দরবারে অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা।