প্রায় সময় ডিবির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসছে। এতে করে ডিবি বিভিন্ন মহলে নানা ভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তবে এই সকল অভিযোগ এবং আসল নকল ধরতে ডিবির পোশাকে যুক্ত হচ্ছে কিউআর কোড। এই সম্পর্কে বিস্তারিত বললেন ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মাহবুব আলম।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) (DB) পুলিশের জ্যাকেটে যোগ করা হচ্ছে কুইক রেসপন্স কোড বা কিউআর কোড। প্রতিটি ডিবি সদস্যকে জ্যাকেটের সাথে সংযুক্ত একটি পৃথক কোড দেওয়া হবে। যার মাধ্যমে আসল ও নকল ডিবি স্ক্যান করে ধরা পড়বে। ডিবি জানিয়েছে, কোড-সংযুক্ত নতুন পোশাক ফেব্রুয়ারির শুরুতে সরবরাহ করা হতে পারে। নতুন পোশাকের বুকে কিউআর (QR) কোড থাকবে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মাহবুব আলম (Mahbub Alam) গণমাধ্যমকে বলেন, ভুয়া ডিবি সেজে অনেকে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে। কেউ যাতে এভাবে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য নতুন পোশাক তৈরি করা হচ্ছে। কিউআর কোড ছাড়াও পোশাকটিতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে, ফলে সহজে প্রতারণা করা সম্ভব হবে না।
ডিবি জানায়, ডিবির সদস্যরা তাদের জামাকাপড়ের ওপর স্লিভলেস জ্যাকেট পরে থাকে। এর সামনে ডানদিকে ইংরেজিতে লেখা ‘ডিবি’। ডানদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) (DMP) লোগো। পেছনে ইংরেজিতে শুধু ‘ডিবি, ডিএমপি’ লেখা। প্রতারক ও অপরাধীরা সহজেই এ ধরনের ইউনিফর্ম তৈরি করে ভুয়া ডিবি সেজে ছিনতাই, অপহরণ ও ছিনতাইয়ের মতো বড় ধরনের অপরাধ ঘটাতে পারে। এসব অপরাধ প্রবণতা বন্ধে ডিবির পোশাক বদল করা হচ্ছে।
ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সব কর্মকর্তার তথ্য আগে থেকেই ডিবির নিজস্ব সার্ভারে সংরক্ষণ করা হবে। মোবাইল অ্যাপ দিয়ে সদস্যদের কিউআর কোড স্ক্যান করার পর তাদের পরিচয় মিলবে। আর ভুয়া ডিবির ড্রেস কোড স্ক্যান করলে ‘অবৈধ কিউআর কোড’ নামের তথ্য দেখা যাবে। পোশাকে থাকবে একটি বিশেষ রঙ যা ব্যবহার করে আসল ও নকল পুলিশের মধ্যে পার্থক্য করা যাবে। বাজারে যাতে পাওয়া না যায় সেজন্য বিশেষ ধরনের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই পোশাক। শীত ও গ্রীষ্ম উভয় ক্ষেত্রেই পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে আরামদায়ক কাপড়।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আর্ন্তজাতিক মানের করে গড়ে তুলতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে এরই লক্ষ্যে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এবং আধুনিক নানা প্রযুক্তিতে সজ্জিত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।