Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / যদি একতলায় ঘর ফাঁকা থাকে তাহলে কেন চারতলায় দিতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

যদি একতলায় ঘর ফাঁকা থাকে তাহলে কেন চারতলায় দিতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

সারাদেশেই আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে সহিংসতা ভোট কারচুপির মতো ঘটনা। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ছিল ব্যতিক্রমধর্মী সেখানে ব্যবহার করা হয়েছিল উন্নত প্রযুক্তি। ইভিএম ব্যবহার করায় ভোট কারচুপির ছিলনা কোন সুযোগ, যদিও বিরোধী দলের প্রার্থী তৈমূর আলম অস্বীকার করেছেন এ ব্যাপারে। এবারে এই নিয়েই পরিকল্পনামন্ত্রী কথা বললেন, নাসিক প্রমাণ দিল দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।

শনিবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন: জনপ্রতিনিধি নির্বাচন প্রক্রিয়া ও অভিজ্ঞতা’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে সেলিনা জয়ী হয়েছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন। ব্যক্তিগত ইমেজ এবং গ্রুপ ইমেজ কারণে. আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে নানা প্রশ্ন, নানা অভিযোগ থাকলেও সব অভিযোগ ভেসে গেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। আনন্দঘন পরিবেশে, নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন প্রমাণ করে দলীয় সরকারের অধীনেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৈমুর সাহেব অভিযোগ করেছেন যে ইভিএম কারচুপি করা হয়েছে- এটা আমি কোনোভাবেই বিশ্বাস করি না। তবে ইভিএমে অনেক সমস্যা রয়েছে, যেমন সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ইভিএমের কারণে তার অনেক ভোটার ভোট দিতে পারেননি।

নির্বাচনের দিন কেন বুথের সংখ্যা কমেছে, হুট করে কেন বুথের সংখ্যা কমেছে তা নিয়ে আলোচনা করতে হবে। আরেকটি বিষয় যা আলোচনায় আসে তা ছিল মহিলা কেন্দ্র ভবনের চতুর্থ তলায়; এতে আমার যথোপযুক্ত আপত্তি আছে কারণ প্রথম তলায় বাড়ি খালি থাকলে চতুর্থ তলায় কেন দেওয়া হবে তা বুঝতে পারছি না।

একটি শেষ জিনিস সমন্বয়। আসলে আমাদের মধ্যে সমন্বয়ের অনেক অভাব। এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। একাধিক বৈঠকেও তাকে বলেছি। সমন্বয়ের অভাব মেয়র বলেন, সমন্বয় ছাড়া কাজ ঠিকমতো করা যায় না। আসলে, আমি তার সাথে একমত। কারণ আমাদের মিটিংয়ে অনেক কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন না, এত উচ্চতার কর্মকর্তা থাকলেও তারা সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে বা কিছু যোগ করতে পারবেন না।

তৈমুর আলম খন্দকারের প্রতি অবিচার করা হয়েছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, নাসিক নির্বাচনের পর আপনারা দেখেছেন তৈমুর আলম খন্দকারকে তারা বিএনপি থেকে বহিষ্কার করেছে। তবে তারা চাইলে নির্বাচনের আগেই তাকে বহিষ্কার করতে পারত। কিন্তু তিনি তা করেননি কারণ তিনি যদি কোনোভাবে নির্বাচনে জয়ী হতেন তাহলে তারা তাকে দলে ফিরিয়ে দিতেন। আমি মনে করি এটা তার প্রতি অবিচার ছিল। বড় দল হিসেবে এটা করা উচিত নয়, বড় দলের কাছ থেকে এটা আশা করা যায় না।

সংলাপে তিনি তৈমুর আলম কে বহিস্কার নিয়েও নানান কথা বলেন। তবে এসব ব্যাপারে বিএনপি থেকে উত্তর সাপেক্ষে কোন কথা এখনো বলা হয়নি। সেইসাথে তৈমূর আলম ও এখনও কিছু বলেছেন বলে শোনা যায়নি। তবে এটা তিনি পরিষ্কার করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্কিত প্রশ্ন ছিলো সেটা এখন আর থাকবেনা।

About Ibrahim Hassan

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *