Sunday , November 24 2024
Breaking News
Home / National / আসলে প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জ, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নতুন করে নাটক শুরু করেছে: ড. মোশাররফ

আসলে প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জ, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নতুন করে নাটক শুরু করেছে: ড. মোশাররফ

নির্বাচন কমিশন গঠন কে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন যাবৎ বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে চলছে বাকবিতণ্ডা। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির ডাকে সংলাপের যায়নি বিএনপি। অভিযোগ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একাধিক। এবার সেই নির্বাচন কমিশন গঠন কে কেন্দ্র করেই আরো কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকার নতুন নাটক শুরু করেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তাই দেশের চলমান সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রয়াত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও প্রকাশিত স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেডআরএফ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই নয়, দেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নেও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান রয়েছে। তার জন্মবার্ষিকীতে আলোচনা করার জন্য ধন্যবাদ। আমি বলব, দেশে দুটি বিশেষ দিন। ২৫শে মার্চ তৎকালীন সেনাবাহিনীর একজন যুবক মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের বিরুদ্ধে ‘উই রিভোল্ট’ হিসেবে তার স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজ অনেকেই জিয়াউর রহমানকে হিংসা করে। তারা তার নাম মুছে ফেলার কিছু এমন কিছু নাই যা করছে না। যারা জিয়াউর রহমানের অবদান স্বীকার করে না তারা মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না। অন্যরা তখন ভারতে আশ্রয় নেয়। কেউ চাইলেই ইতিহাস মুছে ফেলতে পারবে না।

আরেকটি ঘটনা ঘটে ৭ নভেম্বর। স্বাধীনতার পর ১৬ ডিসেম্বর যারা ক্ষমতায় আসে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে দেয়। বাক স্বাধীনতা বন্ধ হয়ে যায়। প্রথম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল রক্ষীদের দিয়ে মানুষ হত্যা করে, সেখানে সারি ও পাল্টা সারি ছিল। ৭ই নভেম্বর সিপাহী গণবিপ্লবের বাঁক ইতিহাসের আরেকটি টার্নিং পয়েন্ট। অতঃপর শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দেশের ক্ষমতার পাদদেশে আবির্ভূত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার করেন।

তিনি বলেন, এই সরকার ২০১৮ সালের নির্বাচনে দিনরাত ভোট দিয়ে সরকার গঠন করেছে। তারা বলছেন, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আসলে প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জ। আজ আমেরিকান ডেমোক্রেটিক কনফারেন্সে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কারণ বিশ্বের বাইরের সবাই জানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। যে দেশে গণতন্ত্র নেই, সেখানে মানবাধিকার নেই।

আজকে আওয়ামী লীগ ১২ বছর ধরে গুম, খুন, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। এটাই ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের বৈশিষ্ট্য। তারা ভেবেছিল, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় থাকবেন। এমনকি ২০০৪ সাল থেকে তারা বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তারা তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। লবিস্টরাও ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অপকর্মের কারণেই আজ যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান ও কয়েকজন কর্মকর্তার নামে অনুমোদন দিচ্ছে। তবুও তারা আমলে নিচ্ছে না।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরকার আজ যে আইন করেছে তা জাতির সঙ্গে আরেকটি নাটক। আমরা বলেছি, বিএনপি কখনই আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। কারণ আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন কমিশন সরকার থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। তাই এসব সংকট নিরসনে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নেই।

জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রকৌশলী মাহবুব আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মোঃ আব্দুস সালাম, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সহ-প্রচার সম্পাদক, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, স্বচ্ছসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, জেডআরএফের অধ্যাপক আবুল হাসনাত। শামীম, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, কৃষিবিদ ড. আকিকুল ইসলাম আকিক, ডা.মেহেদী হাসান, প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, প্রকৌশলী সুমাইল মোঃ মল্লিক, আমতাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেডআরএফ মনিটর প্রফেসর ড. মোরশেদ হাসান খান, প্রকৌশলী কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নু, শামীমা রহিম, সরদার মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, দবির উদ্দিন তুষার, শফিকুল ইসলাম, রকিবুল ইসলাম রকিব, আমান উল্লাহ আমান, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচি, এএসএম রকিবুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।

তবে এ ধরনের মন্তব্য নতুন কিছু নয়। বিএনপি কখনোই চায় না আওমীলিগ এর আন্ডারে নির্বাচন করতে। তবে এসব মন্তব্যের উত্তরে আওয়ামী লীগ থেকে কিছু বলা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। হয়তো খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া আওয়ামী লীগের কোন নেতা কর্মীর পক্ষ থেকে পাওয়া যাবে।

About Ibrahim Hassan

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *