বাংলা রুপালী জগতের এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুমনা জনা। ঢালিউড কাপানো বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেতাদের বিপরীতে জুটি বেঁধে কাজ করেছেন তিনি। তার অভিনীত সর্বশেষ সিনেমাটি ছিল ‘বাজাও বিয়ের বাজনা’। এটি মুক্তি পায় ২০১০ সালে। এরপর দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর ধরে সিনেমার পর্দা থেকে নিজেকে আড়াল করে নেন এই নায়িকা। স্বামীর সঙ্গে থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তার অংশগ্রহণ আছে। যার কারণে মাঝেমধ্যেই দেশে আসেন জনা।
তবে দেশে আসতে না আসতেই গণমাধ্যমের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জনা। তার অভিযোগ বিদায়ী কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের বিরুদ্ধে। নায়িকা বলেন, শিল্পী সমিতির বিদায়ী কমিটি তার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু কী কারণে ভোটাধিকার হারালেন এই নায়িকা? কি দোষ ছিল তার?
অভিযোগের সুরে জনা গণমাধ্যমকে বলেন, “চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিতে নিয়মিত অবদান রাখি। বার্ষিক পিকনিকে কয়েকবার আর্থিক সহায়তাও দিয়েছি। কিন্তু করোনার কারণে এক বছর দেশে আসতে পারিনি। তাই সমিতির চাঁদা দিতে একটু দেরি হয়েছে। এই অজুহাতে আমার ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’
মিশা-জায়েদের আঙুল তুলে নায়িকা বলেন, “অনেকবার মিশা-জায়েদ ও সমিতির কোষাধ্যক্ষ জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি চাঁদা দেওয়ার জন্য। তারা এ ব্যাপারে আমাকে কোনো সহযোগিতা করেনি। আমি ১৩ ডিসেম্বর দেশে আসি। এরপর থেকে চাঁদা দেওয়ার চেষ্টা করছি। গত ২৭ ডিসেম্বর বকেয়া দিতে গেলে জাকির বলেন, জায়েদ খান ছাড়া আর কেউ চাঁদা নিতে পারবেন না।
“আমি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলাম তখন একবার অনুদান পাঠিয়েছিলাম,” জানা বলেন। তখন জায়েদ বললেন, আপনাকে সরাসরি রশিদে স্বাক্ষর করতে হবে। পরে ৫ জানুয়ারি জায়েদকে ফোন করি। তিনি বলেন, চাঁদা দেওয়ার সময় শেষ। আমি তাকে বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু পরে জানতে পারি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অন্য সদস্যদের চাঁদা নেওয়া হয়েছে। এভাবে মিথ্যাচার করে আমার ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ‘
চলতি মাসের আগামী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণা নিয়ে রীতিমতো ব্যস্ত সময় কাটতে শিল্পীদের। তবে এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে নান আলোচনাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে।