Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Countrywide / সেই হারিছ চৌধুরীকে নিয়ে সন্দেহ পোষন করে নতুন তথ্য দিল পুলিশ

সেই হারিছ চৌধুরীকে নিয়ে সন্দেহ পোষন করে নতুন তথ্য দিল পুলিশ

বাংলাদেশের অন্যতম একজন রাজনীতিবীদ হারিস চৌধুরী। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের জসাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এবং তিনি এই দলের হয়ে বাংলাদেশ সরকারের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এমনকি তিনি বিএনপি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে তার এই মৃ/ত্যু/কে নিয়ে এক নতুন তথ্য দিল পুলিশ।

একুশে আগস্ট গ্রে/নে/ড হা/ম/লা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং বিএনপি সভাপতি খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ গত বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মা/রা যান এবং তাকে ঢাকার কাছাকাছি একটি কবরস্থানে দা/ফ/ন করা হয়। তার পরিবার এবং মেয়ের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। তবে হারিছ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এখনও রেড নোটিশ রয়েছে। আর ঢাকা পু/লি/শ বলছে, সে মা/রা গেছে কিনা তারা নিশ্চিত নয়। সি/আই/ডি বিষয়টি তদন্ত করছে। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর হারিছ চৌধুরী আত্ম/গো/পন করেন। এরপর তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশ জারি করা হয়। নোটিশটি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে, তবে পু/লি/শ তার অবস্থান নিশ্চিত করেনি বা তাকে গ্রে/প্তা/র করতে পারেনি। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ও বিএনপির সাবেক এই নেতা দেশে আত্মগোপনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার স্বজনরা। আর রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মা/রা যান। এ ধরনের দাবি ইন্টারপোলের রেড নোটিশের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তদুপরি, এত বছর ধরে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি গ্রে/প্তা/র না হওয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

পরিবারের দাবি জানতে চাইলে মাঠে লুকিয়ে ছিলেন হারিছ চৌধুরী। বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। বিষয়টি এড়িয়ে যান চার পুলিশ কর্মকর্তা। পুলিশ সদর দফতরের জাতীয় কেন্দ্রীয় ব্যুরো (এনসিবি) শাখা বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষে ইন্টারপোলের সাথে কার্যক্রম পরিচালনা করে। কার্যালয়ের উপ-মহাপরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম বলেন, হারিছ চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের রেড নোটিশ এখনো রয়েছে। তিনি বলেন, হারিছ চৌধুরীর মৃ/ত্যু সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। তবে গণমাধ্যমে এমন খবর আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করতে পুলি/শে/র অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সি/আই/ডি) চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, একুশে আগস্ট গ্রে/নে/ড হাম/লা/র মামলার তদন্ত করেছে সি/আই/ডি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়। আন্তর্জাতিক সংস্থা অনুরোধটি যাচাই করে এবং তার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এখন সি/আই/ডির তদন্তকারী সংস্থা আসামির মৃ/ত্যু/র বিষয়টি নিশ্চিত করলে নোটিশ অপসারণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিআইডির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, হারিছ চৌধুরীর মৃ/ত্যু/র খবর আগেও বেরিয়েছিল। এবারও তার পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। তার চাচাতো ভাই দাবি করেছেন, হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে মা/রা গেছেন। আবারও ঢাকায় মা/রা গেছেন বলে দাবি করেছেন তার মেয়ে। এখন এটা তার পরিবারের উপর নির্ভর করে যে সে মা/রা গেছে এবং রেড নোটিশ প্রত্যাহারের জন্য তদন্তকারী সংস্থার সাথে যোগাযোগ করবে। সি/আই/ডি পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এদিকে, রোববার (১৬ জানুয়ারি) ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে রেড নোটিশের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে দেখা গেছে, বিভিন্ন অপরাধে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা ৫৮ জনের মধ্যে হারিছ চৌধুরীর নাম ও ছবি ১৩ নম্বরে রয়েছে। সেখানে তার নাম চৌধুরী আবুল হারিছ লেখা আছে। এখানে আপনার জন্ম তারিখ, জাতীয়তা, জন্মস্থান, উচ্চতা, চুল এবং ওজন, চোখের রঙের শারীরিক বিবরণ রয়েছে। রেড নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রে/নে/ড হা/ম/লা/য় তিনি নি/হ/ত হয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই হারিছ চৌধুরীর মৃ/ত্যু/র বিষয়ে তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে ইঙ্গিত দিলেও তিনি সরাসরি কিছু বলেননি। পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, হারিছ চৌধুরী যুক্তরাজ্যে মা/রা গেছেন। এদিকে হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী (মুন্নু) জানান, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার বাবা মা/রা যান। তিনি হারিছ চৌধুরীর মৃ/ত্যু, ঢাকায় দা/ফ/ন ও আত্ম/গো/পনে/র স্থানসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

বর্তমান সময়ে বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা নানা ভাবে অবহেলিত এবং নি/র্যা/তি/ত। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের অসংখ্য মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেক নেতাকর্মীরা এমন অভিযোগ রয়েছে। তবে বিএনপি দল চলমান সকল সংকট নিরসনের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছে। ইতিমধ্যে সকল সংকট মোকাবিলায় বিএনপি দল গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।

About

Check Also

আ.লীগ ও তৃণমূল থেকে বিএনপিতে যোগদানের হিড়িক

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিএনপিতে যোগদানের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *