Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / opinion / কথাগুলো প্রকাশ করলাম না তবে আমি নিজেই বলি বোন পদ বাঁচাও: তুহিন

কথাগুলো প্রকাশ করলাম না তবে আমি নিজেই বলি বোন পদ বাঁচাও: তুহিন

বর্তমান সময়ে আওয়ামীলীগ দলের নেতাকর্মীরা পদ-পদবি নিয়ে নিজ দলের নেতাকর্মীরা একে-অন্যের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ছে। এমনকি কিছু অসাধু ব্যক্তি রয়েছে যারা কিনা অর্থের বিনিময়ে কিছু অসাধু ব্যক্টিদের কাছে পদ-পদবি বিক্রি করছে। এতে করে দল ও নানা ভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ হচ্ছে। এবং দলের সম্মানহানি হচ্ছে। সক্পর্তি এমনি এক ঘটনা উঠে এসেছে প্রকাশ্যে। এই সমস্ত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোষ্ট দিলেন সাবিনা আক্তার তুহিন।

আমি আজ নাজমা আপার মেয়েদের নিয়ে কিছু স্ক্রীনশট শেয়ার করছি। আপা আপনি হয়তো আমাকে ১৮ আসনের কেন্দ্র কমিটি দেয়ার পর থেকে রেগে আছেন। আপা আমি কেনো দিয়েছিলাম মনে আছে তো? আপনি আমি সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও পরিচালনা কমিটি আমাকে বাদ দিয়ে করেছিলেন ১৮ আসনের উপ-নির্বাচন এটা ভুলে গেছেন। আপা আপনি জানতেন আমি অপুদি কে ভালোবাসি কিন্তু আপনি আমাকে ঠেকানোর জন্য আপনার মহানগর সাধারণ সম্পাদক কে আমি যে ঢাকা-১৪ আসনে প্রার্থী সেখানে রাখতেন কেনো?? সংগঠনের কর্মী অযোগ্য হলে ও তার সাপোর্ট করা তো উচিত ছিল? আপনাদের কাছে অনেক ছোট হয়েছি বলেছি আপনি আর অপুদি যেমন এলাকা ভাগ করে নিয়েছেন আমাদের ও ভাগ করে দেন আমার এলাকা আমার ভাগে থাকবে। আপা সেদিন আপনি তা করেন নাই শুধু আসলাম ভাইয়ের থেকে সুবিধা নিতো আপনার সাধারণ সম্পাদক তাই। আপা আমি ঢাকা মহানগর সভাপতি হলে ও সারা বাংলাদেশের মেয়েরা আমাকে ভালোবাসতো। আপনার মেয়েরা ও আমাকে ব্রান্ড বলতো।

আপা পাপিয়াকে পদ দেয়া আপনাদের ব্যাপার। আর আমি সাবেক এমপি তাই দলের কর্মীদের সাথে মিশবো এটাই স্বাভাবিক। আমি সব সময় নেতাকর্মীদের কে সময় দেই সবাই জানে আর দুর্দিনে ও কর্মীদের সবাই কে নিয়ে নাস্তা করতাম তাদের কে আনন্দে মাতিয়ে রাখতাম। যা রাজনীতিরই একটা অংশ। আমি আন্দোলন কোন বড় রেস্টুরেন্ট এ খেতাম না রাস্তায় বসে সাত্তার ভাইয়ের দেয়া খিচুরি খেতাম। আমি মাঠের কর্মী তাই মাঠের কর্মীদের মূল্যায়ন সব সময় করি। এক পাপিয়া খারাপ দেখে সব খারাপ না। তাই ওর জন্য কর্মীদের অবমূল্যায়ন করা যাবে না। আপা পাপিয়ার ঘটনার পর ও ঢাকা জেলার উত্তর বিতর্কিত কমিটি আপনি দিলেন এজন্য ও কি আমাকে দায়ী করবেন?? আপা আপনি কেনো মিথ্যা বলছেন আমি ৩২ নাম্বারে বিশৃঙ্খলা এমন কি গাঁয়ে হাত তুলেছি?? আপা আমি তো আপনার মেয়েদের হাতে নির্যাতিত আমার মেয়েদের যাদের আপনার ভাবা উচিত তারাও আপনার কর্মী তাদের নির্যাতনের প্রমাণ দিয়েছি। আপা আপনি কি প্রমাণ দিবেন প্লিজ? আমাকে আপনার মেয়ে লিলি কানিজ সবাই পছন্দ করে। কিন্তু আপনার অযোগ্য মহানগর সাধারণ সম্পাদক আপনাকে এমনটা করাচ্ছে। লিলি সেদিন যে পরিচয় দিয়েছে গাছের ডাল ভেঙে মেয়েদের মারা তা ৩২ নাম্বারের পবিত্রতা নষ্ট করেছে। লিলির মতো একজন সাংগঠনিক মেয়ে আজ আপনার কিছু অযোগ্য মেয়ের উস্কানীতে ভুল পথে রাজনীতি করছে। আজ সংগঠন কে হাসির খোরাক করা হয়েছে। আপা যুব মহিলা লীগ কাদের কারণে অল্প সময়ে পরিচিত হয়েছিল তা ভুললে হবে না।

সংগঠনে আমাদের সকলের বয়স হয়েছে সবাই হয়তো ভবিষ্যৎ রাজনীতির হাল ধরবো। কিন্তু আজকের ঘটনাই যখন অতীত হবে তখন ঘৃণা ভরে মানুষ তা স্মরণ করবে। আমি যে সহজে হাল ছাড়া মানুষ না তাই আমাকে আঘাত করার বৃথা চেষ্টা বন্ধ করা উচিত। আমার জীবনে রাজনীতিতে ফুল বিছানো না কাঁটা বিছানো ছিল তা বেঁছেই আমি পথ চলতে অভ্যস্ত। আপা আমি অদক্ষ অথচ নেত্রী গ্রেফতার হলে আমার নেতৃত্বে কোর্টে মিছিল হয়, আমি সে সময় যুব মহিলা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সুধা সদনের সামনে পালন করি, আমি ১৫ আগস্ট পালন করি বিশাল করে যখন ওয়ান ইলেভেনে ভয়ে অনেকে রাজপথে নামতো না। সাবিনা আক্তার তুহিন অ-দক্ষ আজব যতজন মেয়ে আছে রাজপথে সংগ্রাম জেল খেটেছে বেশির ভাগ আমি তুহিনের ঢাকা মহানগর উত্তরের যখন আমি মহানগর উত্তর সাধারণ সম্পাদক। আপা আপনি আপনার মেয়েদের বলেন আমার বিরুদ্ধে নিউজ শেয়ার করতে তারা বলে প্রিয় আপা সরি পদের জন্য করতে হচ্ছে। আমি তাদের কথাগুলো প্রকাশ করলাম না তবে আমি নিজেই বলি বোন পদ বাঁচাও। আপা জোর করে নেতা হওয়া যায় কিন্তু জনগণের নেতা হতে জনগণের মন জয় করতে হয়।

সাবিনা আক্তার তুহিন দীর্ঘ দিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। এবং তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ দলের হয়ে কাজ করছেন। এবং তিনি ঢাকা উত্তর মহানগর যুব মহিলা লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে বর্তমান সময়ে দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জের ধরে এই পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি এই ক্ষমতাসীন দলের হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

About

Check Also

বাঁধন নৌকার লোক বলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হইতো: পিনাকি

ছাত্র আন্দোলনে তারকাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তিনি আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *