Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Exclusive / নতুন বছরে আওয়ামী লীগের সমানে রয়েছে একাধিক সংকট: আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

নতুন বছরে আওয়ামী লীগের সমানে রয়েছে একাধিক সংকট: আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

দেশের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ একটি কঠিন সময় পার করছে, এমন বিষয়টি শুনে অনেকেই কিছুটা চিন্তায় পড়তে পারেন। কারন এটা তারা ভাবতে পারেন যে, আ.লীগ তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে দিব্যি কাজ করে চলেছে। এটাই বড় ধরনের অভিযোগ আ.লীগের বিরুদ্ধে। কিন্তু দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই দলটিকে অনেক কিছু মোকাবেলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ক্ষমতার পালাবদল ঘটলে যদি রাজনীতিতে অন্য কোনো দল আসতো তাহলে তারা স্বদেশী কিংবা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কতটা কিংবা কিভাবে সফলতা আনতে পারতো, সেটা কী এই ক্ষমতাসীন দল পেরেছে। নাকি এই দলটি দেশকে রসাতলে নিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিন্তু তাদের স্বার্থই দেখে থাকে, কারন আভ্যন্তরীন রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তারা নিজেদের স্বার্থ দেখতে পারে, কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে কোনো দল প্রাধান্য পায় না, সেখানে দেশটাই প্রাধান্য পায়। ২০২১ সালের শেষে এসে যুক্তরাস্ট্র বাংলাদেশের সংস্থা এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি আলোচনায় আসে। কিন্তু কেমন যাবে নতুন এই বছরটি বাংলাদেশের জন্য? এটা একটি প্রশ্ন, যেটা নিয়ে একটি বিশ্লেষনমূলক তথ্য তুলে ধরেছেন বিশিষ্ট গ্রন্থকার, কলাম লেখক, চিন্তাবিদ ও বিশ্লেষক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। তার সেই মতামত হুবুহু তুলে ধরা হলো-

আমরা ২০২২ সালে পদার্পণ করলাম। এখানে আমরা বলতে আমাকে বুঝিয়েছি। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, আমার ২০২১ সাল পেরোনোর সম্ভাবনা কম। আমি নানা রোগে আক্রান্ত; সুতরাং ২০২২ সালের মুখ সম্ভবত দেখে যেতে পারব না। কিন্তু বিধাতার অপার কৃপায় ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারির দেশের একটি পত্রিকার জন্য লিখছি। এখন দেখা যাক ২০২৩ সাল পর্যন্ত পৌঁছতে পারি কি না।

বিশ্ব আজ এক মহাবি’প/র্যয়ের সম্মুখীন, মনে হয় এই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের বিপর্যয়ের মধ্য দিয়েই আমরা এক নতুন যুগে, নতুন সভ্যতায় পদার্পণ করতে যাচ্ছি। ভূ-রাজনীতি আজ সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমেরিকা আজ ধনবাদী বিশ্বের নেতৃত্বের পদে নেই। এই পদটি ছি’নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কমিউনিস্ট চীন। গত শতকে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের লড়াই ছিল কমিউনিজমের সঙ্গে। আমেরিকা ছিল তার নেতা। আজ আমেরিকার বিশ্ব আধিপত্য পতনের দিকে। চীন সর্বত্র অর্থনৈতিক সাম্রাজ্য বিস্তার করেছে। এটা ঠেকানোর জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রবল চেষ্টা করেছেন, পারেননি।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন যখন ক্ষমতায় আসেন তখন মনে হয়েছিল আমেরিকা চীনের প্রতি নরম পন্থা গ্রহণ করবে। বাইডেন কথা বলেন কম, যাও বলেন তা অত্যন্ত নরম কণ্ঠে। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল তিনি আফগানিস্তানে অত্যন্ত অমানবিক নীতি গ্রহণ করেছেন। চীনকে শুধু হুম’কি দিচ্ছেন না, চীনকে জব্দ করার জন্য ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে কোয়াড নামে একটি জোট গঠন করেছেন। চীন চেষ্টা করছে এই কোয়াডে যেন এশিয়ার আর কোনো দেশ যোগদান না করে। বাংলাদেশ তাই চাপের মুখে পড়েছে। একদিকে আমেরিকা ও ভারতের চাপ কোয়াডে যোগ দেওয়ার জন্য, অন্যদিকে চীনের চাপ বাংলাদেশ যেন কোয়াডে যোগদান না করে। এই দুই চাপে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের টিকে থাকা মুশকিল! কোয়াডে রয়েছে ভারত। ভারত আমেরিকাকে দিয়ে কোয়াডে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন তার বেশির ভাগে চীনের সাহায্য রয়েছে। বাংলাদেশের আমলা ও ব্যবসায়ীদের ভেতর একটা বিরাট চীনপন্থী মহল গড়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা তাই এই সংকটে কোন দিকে যাবেন, কিভাবে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবেন এবং উন্নয়নের গতি রক্ষা করবেন—এই চিন্তা-ভাবনায় পড়েছেন বলে মনে হয়।

এই ভূ-রাজনৈতিক সমস্যা একদিকে, অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের নতুন সংস্করণের আক্র’/মণ বিশ্বকে শ’ঙ্কিত করেছে। ব্রিটেনে প্রয়াতের সংখ্যা এখনও উদ্বে’গজনক। এই বিপ’দ কবে শেষ হবে তা বিজ্ঞানীরা বলতে পারছেন না। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের আবির্ভাব পৃথিবীকে বদলে দিয়েছে। মানুষ আগের মতো মেলামেশা করতে পারে না। ব্যবসায় লোকসান হচ্ছে। এর পরেও একটি নতুন বিশ্ব ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। মনে হচ্ছে আমেরিকা কোয়াড গঠন করলেও আগের আধিপত্য ফিরিয়ে আনতে পারবে না। সমাজ ব্যবস্থায় এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। অনলাইন ব্যবসা বাড়বে। সংবাদপত্রের বাজার ভেঙ্গে পড়বে। সবাই অনলাইনে পেপার পড়বে। ব্যবসা-বাণিজ্য-ব্যাংকিং চলবে অনলাইনে। প্রত্যক্ষ সম্পর্কবিহীন এই সমাজব্যবস্থা বিশ্বের মানবতার উপকার করবে নাকি ক্ষতি করবে তা দেখার বিষয়।

ভবিষ্যতে পৃথিবী কী চেহারা ধারণ করবে, তার সমাজব্যবস্থা কেমন হবে এটা এখন বলা মুশকিল। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞানী মনে করেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশনের পর যেমন যন্ত্রনির্ভর সভ্যতার শুরু হয়েছিল, তেমনই বর্তমান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের বিপর্যয়ের পর সারা বিশ্ব আরো বেশি যন্ত্রনির্ভর হবে এবং এক নতুন সভ্যতার উন্মেষ ঘটাবে।

আমরা যাঁরা বাংলাদেশে আছি, আমাদের সৌভাগ্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বামী একজন অণুবিজ্ঞানী ছিলেন এবং তাঁর ছেলে জয়ও একজন নামকরা টেকনোক্র্যাট। তাঁরা যদি দেশের নেতত্বে থাকেন, তাহলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মতো একটি টেকনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার ব্যাপারেও তাঁরা পথ দেখাতে পারবেন। বাংলাদেশে মধ্যযুগীয় রাজনীতি আর চলবে না। বিএনপি ও জামায়াত যতই চ’ক্রান্ত করুক এই রাজনীতির পতন অবশ্যম্ভাবী। বিশ্বে যে নতুন রাজনৈতিক পদ্ধতি গড়ে উঠবে তাতে যন্ত্রের প্রভাব থাকবে অনেক বেশি। বাংলাদেশ যদি সময়মতো এই নতুন সভ্যতার সঙ্গে যোগ মেলাতে পারে, তাহলে ২০২২ সালে বলা যায় বাংলাদেশ সংকট কাটিয়ে উঠবে, তার ভয় করার কিছু নেই।

সম্প্রতি দেখলাম মির্জা ফখরুল দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার জবাবে গণফোরামের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোকাব্বির খান মির্জা ফখরুলকে কয়েকটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, সেই প্রশ্ন হলো—বিএনপি যে গণতন্ত্র চায়, তা কি দশ ট্রাক অ’/স্ত্র আমদানির জন্য? বিএনপি যে গণতন্ত্র চায়, তা কি একুশে আগস্টের মতো হাম’/লার জন্য? বিএনপি যে গণতন্ত্র চায়, তা কি গণভবনকে আবার হাওয়া ভবনে রূপান্তরিত করার জন্য? এই প্রশ্নগুলোর সদুত্তর পেলে তাঁরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে আসতে পারেন। আমি মোকাব্বির খানকে ধন্যবাদ জানাই এবং অপেক্ষা করছি বিএনপি তাঁর প্রশ্নের কী জবাব দেয়।

ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বেশির ভাগ জায়গায় আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়েছে। তাই বলে সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হবে এমন কোনো ধারণা পোষণ করা সংগত নয়। ২০২২ সালে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে। সে রাজনীতি বিএনপি-জামায়াতের মধ্যযুগীয় রাজনীতিকে সামনে এগোতে দেবে না।

খুলনার বিএনপিতে বিদ্রোহ হয়েছে। অন্যান্য জেলায়ও হচ্ছে। তার কারণ বিএনপির কোনো জাতীয় ইস্যু নেই, যা সাধারণ নির্বাচনে ব্যবহার করতে পারে। দেশের সব স্থানেই বিএনপিতে স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে তারেক রহমান বিলেতে বসে ইস্যু নির্ধারণ করে দেবেন তা বোধ হয় সম্ভব হবে না। কাদের সিদ্দিকী, আ স ম আবদুর রব, মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ মিলে নতুন জোট গঠিত হতে পারে। গতবারের নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে তাঁরা এবার বিএনপির সঙ্গে জোট করবেন কি না সন্দেহ। ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ (ইনু)-সহ অন্য দলগুলো আওয়ামী লীগের মহাজোটে থাকবে কি না তা এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

আওয়ামী লীগের আসল বিপদ অভ্যন্তরীণ। দলটি দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় অনেক হাইব্রিড নেতা-কর্মী দলে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। এটা এতটাই দৃশ্যমান যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক জনপ্রিয়তা কমে গেছে। এখন প্রশ্ন আগামী নির্বাচনের আর মাত্র দুই বছর বাকি, এবার আওয়ামী লীগ রেহাই পাবে কি না। কয়েকদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে, তার ভাইয়ের সাথে বিরোধ এবং অন্যান্য বিরো’ধ মিটে গেছে। ফলে আগামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ দাঁড়াতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

আমার এ বিষয়ে সন্দেহ আছে। আওয়ামী লীগের ভেতরে একটা শক্তিশালী কায়েমি স্বার্থ গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রও শক্তিশালী। এই লৌহবলয় ভাঙা আগামী দুই বছরে সম্ভব হবে কি? এটা সম্ভব হবে যদি সভানেত্রী শেখ হাসিনা আরো কঠোর হন এবং দল পুনর্গঠনে এগিয়ে আসেন। আমি এর আগে প্রস্তাব দিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীর উচিত শেখ রেহানা অথবা জয়কে আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধায়ক সভাপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হোক। তাহলে দল সংগঠনে নতুন নেতৃত্ব ও নতুন উদ্যোগ আশা করা যায়। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনেও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব কামারুজ্জামানের কাঁধে ন্যস্ত করেছিলেন। আওয়ামী লীগ নির্বাচনে বিরাট সাফল্য লাভ করেছিল। আওয়ামী লীগের এখন প্রাচীন বটগাছের অবস্থা। এই বটগাছে ঝাড়া দিলে অনেক অবাঞ্ছিত ব্যক্তির পতন ঘটবে। শেখ হাসিনা আরো সবল হাতে দেশ পরিচালনা করতে পারবেন।

আওয়ামী লীগ ছাড়া দেশে এখন কোনো শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন নেই। সুতরাং আমার ধারণা, আগামী নির্বাচনে একটু যত্নবান হলে আওয়ামী লীগই আসবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে এই সম্ভাবনায় আওয়ামী লীগের মধ্যম স্তরের নেতারা যদি গা ঢেলে দেন, তাহলে সর্ব’নাশ হবে। মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর প্রমুখ বিএনপি নেতাকে আমি জাতীয় পর্যায়ের কোনো নেতা মনে করি না। গতবার তাঁরা ড. কামাল হোসেনকে ভাড়া করে তাঁদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতার পদে বসিয়েছিলেন। কিন্তু তারেক রহমান তাঁকে কোনো ক্ষমতা দেননি। প্রথমে তারেক রহমান বিশ্বাসঘা’তকতা করেছেন ডা. বি চৌধুরীর সঙ্গে, তারপর করেছেন ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে।

ড. কামাল হোসেন তারেক রহমানের দুর্বৃত্তপনা সবই জানেন। তবু তাঁর সঙ্গে নির্বাচনে হাত মিলিয়েছিলেন হাসিনা-বিদ্বেষ থেকে। ব্যক্তিকেন্দ্রিক রাজনীতির পক্ষে ড. কামাল হোসেন ডুবেছেন। তাঁর দলের একটা অংশ মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে রাজনীতিতে নেমেছে। আওয়ামী লীগের উচিত হবে তাঁকে উৎসাহ দেওয়া। শাহবাগ আন্দোলনকে যেভাবে ধ্বং’স করা হয়েছে, সেভাবে যেন গণফোরামের এই ফ্রন্টকে ধ্বং’স করা না হয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠায় গণফোরাম যদি মোকাব্বির খানের নেতৃত্বে সততা দেখায়, তবে নির্বাচনে তাদের সঙ্গী করা আওয়ামী লীগের উচিত হবে। এবারের নির্বাচনে বহু স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়াবেন। আওয়ামী লীগকে তাই সতর্কতার সঙ্গে প্রার্থী নির্বাচন করতে হবে এবং দল থেকে দুর্নীতি দূর করার ব্যাপারে আপসহীন হতে হবে। আওয়ামী লীগে দুষ্ট গরু কারা তা শেখ হাসিনা জানেন। এই দুষ্ট গরু বিতাড়নই হবে আগামী ছয় মাসের কর্তব্য। আমরা যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতার রাজনীতিতে আস্থা পোষণ করি, তাঁরা এখনো আওয়ামী লীগের দিকে আশাভরা দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। আশা করি আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে জিতে আমাদের আশা পূরণ করবে।

উল্লেখ্য, আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী ১৯৬৭ সালে বঙ্গবন্ধু পুরস্কারসহ বেশকিছু পুরষ্কার পান, ২০০৮ সালে সংহতি আজীবন সম্মাননা পুরস্কার, ২০০৯ সালে স্বাধীনতা পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। একই বছরে দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিক ইত্তেফাক তাকে মানিক মিয়া পদকে ভূষিত করে। ২০১৪ সালে, তিনি পিআইবি-সোহেল সামাদ মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হন। আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী তার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে হ’/ত্যার পর ২২ বছর বাংলাদেশে ফিরতে পারেননি। ১৮ ডিসেম্বর ২০১২ সালে, চৌধুরীর স্ত্রী সেলিমা চৌধুরী লন্ডনে প্রয়াত হন। এই দম্পতির এক ছেলে ও চার মেয়ে। তাদের ছেলে অনুপম রয়টার্সে চাকরি করেন এবং তাদের চার মেয়ে হলো তনিমা, চিন্ময়ী, বিনীতা এবং ইন্দিরা। তিনি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ‘গানের কথা লেখার জন্য সর্বাধিক পরিচিত কারন এই গানটি যেমন জনপ্রিয়তা পায়, তেমনই বাংলা ভাষা আন্দোলনের মুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ ও মনোবল যোগানোর জন্য সবচেয়ে প্রভাবশালী গান হিসেবে স্বীকৃত এবং প্রাথমিকভাবে তার সুরেই এই গানটি গাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে অবশ্য আলতাফ মাহমুদের সুর ও সংগীতায়োজন করেন গানটি। এটিকে বিবিসি বাংলা সার্ভিস’ এর শ্রোতারা বাংলা ভাষায় তৃতীয় সেরা গান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

About

Check Also

চুলের মুঠি ধরে নারী চিকিৎসককে রোগীর মারধর (ভিডিও সহ)

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *