কর ফাঁকির অভিযোগের সূত্র ধরে এক পারফিউম ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমান নগত টাকার সন্ধান পেয়ে রীতিমতো হতভম্ব হয়ে পড়েছেন কর্মকর্তারা। সম্প্রতি এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি অঞ্চলে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঐ টাকা গুলোর রহস্য উন্মচনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
জানা যায়, পারফিউম ব্যবসায়ী পিযুষ জৈনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৮৫ কোটি টাকা। এত বিপুল পরিমাণ নদগ অর্থ দেখে চোখ কপালে আয়কর কর্মকর্তাদের। এ ঘটনায় পিযুষকে কর্মকর্তারা প্রশ্ন করেন, ‘এত টাকা এলো কোথা থেকে?’ জবাবে পিযুষ বলেন, ‘বাড়িতে ৪০০ কেজি সোনা ছিল। পৈতৃক সম্পত্তি ছিল সেই সোনা। সেই সোনা বিক্রি করে এত টাকা পেয়েছি।’ এ কথা শুনে কর্মকর্তারা হেসে লুটোপুটি।
সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের দল গত পরশু অভিযান চালায় ব্যবসায়ী পিযুষের বাড়িতে। সম্প্রতি পিযুষ জৈন ‘সমাজবাদী পারফিউম’ নামক এক সুগন্ধি আনেন বাজারে। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। আর সেই অভিযানে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পরিমাণ অর্থ বাজেয়াপ্ত করেন আয়কর কর্মকর্তারা।
জৈনের বাড়ি ছাড়াও তাঁর কারখানা, দপ্তর, কোল্ডস্টোর, পেট্রল পাম্পে তল্লাশি চালায় আয়কর দপ্তর। কানপুর ছাড়াও মুম্বাইয়ে পিযুষ জৈনের বাসভবনে ব্যাপক তল্লাশি চলে।
সূত্র জানায়, পিযুষ জৈনের নামে ৪০টি সংস্থা নথিভুক্ত রয়েছে। যার মধ্যে দুটি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে।
এদিকে ঐ পারফিউম ব্যবসায়ী পিযুষ জৈনের বিরুদ্ধে কর ফাকির অভিযোগ জানিয়ে দেশটির এক সংবাদ মাধ্যকে তদন্তদল বলছে, ভুয়া সংস্থার নামে দীর্ঘদিন ধরে কর ফাকি দিয়ে আসছিলেন ঐ ব্যবসায়ী। এছাড়াও পিযুষের বিরুদ্ধে জাল বিল দিয়ে ব্যবসা করার অভিযোগও জানিয়েছেন তারা। এ ঘটনায় এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা।