Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / National / সাদেক আলী-আজিজ মার্কার কথা ভুলে যায়নি: ওবায়দুল কাদের

সাদেক আলী-আজিজ মার্কার কথা ভুলে যায়নি: ওবায়দুল কাদের

বর্তমান সময়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সমগ্র দেশ জুড়ে সকল রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা বিরাজ করছে। তবে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দল গুলোর সাথে আলাপ-আলোচনা করছেন রাষ্ট্রপতি। ইতিমধ্যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তবে বিএনপি দল এই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ নিয়ে দ্বিমনত পোষন করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপি দল প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা জানালেন বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

হ/ত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র, চক্রান্তের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতা দখল করতে চায় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। দলটির দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই বিবৃতির বিষয়ে জানানো হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের জনগণ জানে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পবিত্র সংবিধানকে হ/ত্যা করেই বিএনপির জন্ম হয়েছিল। বিএনপি কখনও নির্বাচন, সংবিধান ও প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বিশ্বাস করে না। অতীতের মতো তারা চায় হ/ত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে।’ তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চলেছেন, ঠিক সেই মুহূর্তে দেশের চিহ্নিত রাজনৈতিক অপশক্তি চিরাচরিতভাবে দেশের প্রচলিত গণতান্ত্রিক রীতি ও সংবিধানের বিপরীতে অবস্থান করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার এক ঘৃণ্য অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ “সাদেক আলী-আজিজ মার্কা” নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা ভুলে যায়নি। রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনও আলাপ-আলোচনা ব্যতীত সংবিধান ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ না করেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আজ্ঞাবহ লোক দিয়েই নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল। বাংলাদেশের জনগণ ঘৃণাভরে বিএনপির সেই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলার মানুষ ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করে।’ ২০০৯ সালে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলেই ২০১২ ও ২০১৭ সালে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে নির্বাচন কমিশন গঠনের অনন্য নজির স্থাপিত হয়। বিএনপি কখনও সংবিধান, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না।’

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে বিএনপি তা অনুসরণ করবে বলে আশা প্রকাশ করে কাদের বলেন, ‌‘একই সঙ্গে বিভ্রান্তিকর মন্তব্য ও অপপ্রচারের নীতি পরিহার করে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এবং সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসবে বিএনপি।’ নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে সার্চ কমিটি প্রস্তুত করার জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমন্ত্রিত রাজনৈতিক দলগুলোকে এই সংলাপে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নিরপেক্ষ, শক্তিশালী ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।’ আওয়ামী লীগ সংবিধান সম্মতভাবে একটি স্বাধীন ও কার্যকর নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সহায়তা প্রদান করতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসমূহ সংবিধান ও আইনসম্মত ভূমিকা রাখবে।’

অবশ্যে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগের শেষ নেই। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নানা ধরনের প্রশ্ন তুলেছে। অবশ্যে নতুন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দল গুলো বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে। প্রকৃত অর্থে নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

About

Check Also

জাহ্নবী কাপুরের ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও)

মন্দিরের সিঁড়ির একপাশে অসংখ্য ভাঙা নারিকেল। তার পাশে থেকে হামাগুড়ি দিয়ে উপরে উঠছেন বলিউড অভিনেত্রী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *