সাধারণ মানুষের তুলনায় অনেকটাই ভিন্ন হয়ে থাকেন তারকারা। তাদের লাইফ স্টাইল, চলা-ফেলা অন্যান্য সবার মতো নয়। তবে তারকা বলে তারা যে বিভ্রান্তিত পড়েন না, তা কিন্তু ঠিক নয়। এদিকে থেকে অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো শিল্পীরাও বিভিন্ন সময়ে নানা বিড়ম্বনার শিকার হয়ে থাকেন। আর এবার এই তালিকায় নাম উঠলো সঙ্গীতশিল্পী সোমনুর মনির কোনালের।
‘জীবনে যত ফ্লাই করেছি, তার মধ্যে অন্যতম বাজে ব্যবহার দেখেছি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে!’ বিড়ম্বনার শিকার হয়ে রোববার ফেসবুক স্ট্যাটাসে একথা জানান তিনি।
সেই স্ট্যাটাসে তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘বরিশাল এয়ারপোর্টের কর্মীদের ব্যবহারে মনে হলো তাদের যাত্রীর সঙ্গে ব্যবহার এবং এয়ারপোর্ট ব্যবস্থাপনার উপর নূন্যতম প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না! ভীষণ দুঃখজনক!’ সঙ্গে বরিশাল এয়ারপোর্টের বাইরে থেকে তোলা একটি ছবি যুক্ত করেছেন এই গায়িকা।
কোনালের সেই পোস্টে নেটাগরিকদের কেউ কেউ তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। আবার কেউবা নিজস্ব মতবাদ তুলে ধরেছেন।
জাহিদ হাসান নিলয় লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের এই একটা ডিপার্টমেন্ট নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রায় মানুষের অভিযোগ আছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আদৌ কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? বাংলাদেশের প্রতিটা এয়ারপোর্টে যাত্রী হয়রানির শিকার হয় এবং তার প্রমাণ স্বরুপ অনেক ভিডিও ফেসবুকের মতো যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে কিন্তু তারপরও এই ঘটনা বিরাজমান৷’
মোহাম্মদ এইচ আহমেদ লিখেছেন, ‘আপনাদের সাথে যদি এরকম আচরণ হয় তাহলে একটু বোঝেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে কতটুকু বাজে ব্যবহার হয়।’
ইমন আহমেদ লিখেছেন, ‘দু:খিত আপনাকে না চিনে এরকম করেছি আর হবে না।’ তার সেই কমেন্টে পাল্টা জবাব দিয়ে সারয়ার হোসেন লিখেছেন, ‘তবে আমাদের মতো সাধারণ পাবলিক হলে এমন ব্যবহার করবেন আপনার কথায় তাই ফুটে উঠছে।’
আবদুল হামিদ নামে এক প্রবাসী লিখেছেন, ‘আমার ১৮ বছরের প্রবাস জীবনে বিমান বাংলাদেশ লিমিটেডকে বেঈমান বাংলাদেশ বলতাম। কেবিন ক্রু মহিলাদের ব্যবহার খুবই বাজে। দোহা, দুবাই, আবুধাবীগামী সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে বিরক্ত সহকারে কথা বলে। মেনার জানে না। তুচ্ছতাচ্ছিল্য ভাব। অনেক বার যাতায়াতের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। পাশাপাশি এমিরেটস, ফ্লাই দুবাই, এয়ার আরাবিয়া, কাতার এয়ার ইত্যাদিতে মার্জিত আচরণ। আমার ১ম ফ্লাই ছিল গালফ এয়ারে। ঢাকা টু দোহা। ১৯৮৯ সনের ১৩ সেপ্টেম্বর।’
সোহেল আল মাহাদি নামে আরেক প্রবাসী লিখেছেন, ‘ভাবতাম আমরা প্রবাসী শ্রমিক সেজন্য হয়ত আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে৷ আপনাদের মত সেলিব্রেটিদের সাথেও যদি দুর্ব্যবহার করে তবে এই বিচার কার কাছে দিবো৷ বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় এমন কোন সংস্থা নেই যাদের কর্মীরা ভোক্তাদের সাথে ভালো ব্যবহার কিংবা সার্ভিস দিয়ে থাকে!’
এদিকে একইদিন (১৯ ডিসেম্বর) আরেকটি পোস্টে বিমানে তোলা নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন কোনাল। ক্যাপশনে লিখেছেন- ‘যাই হোক, অবশেষে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছি। প্রিয় বরগুনাবাসী, বরিশালবাসীর জন্য রইলো আমার অনেক ভালোবাসা। দেখা হবে আবারো ইনশাআল্লাহ। সবার দোয়ায় রাখবেন।’
ইতিপূর্বেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। তাই বারবার এ ধরণের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করে এই এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অ্যাকশান নেওয়া উচিত বলেও মনে করছেন অনেকেই। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে শিল্পীদের মাঝে।