বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন অভিনেতা শাকিব খান। তিনি দীর্ঘ সময় দরে বাংলাদেশের বিনোদন মাধ্যমে এক চেটিয়া রাজত্ব করছেন। এবং তিনি অভিনয় করেছেন অসংখ্য সিনেমায়। তার অভিনীত সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে তাকে নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে তিনি আমেরিকায় স্থায়ী হচ্ছেন। এবার সেই গুঞ্জনই সত্য হচ্ছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
শোবিজের একঝাঁক শিল্পী দেশ ছেড়ে বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। তাদের কেউ কেউ শীতের পাখি হয়ে দেশে ফেরেন, কিছুদিন বেড়ান-ঘুরেন সুযোগ হলে কাজও করেন। এ তালিকায় আছেন অভিনয়শিল্পী, সংগীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পীসহ শোবিজের নানা অঙ্গনের মানুষ। এবার এ তালিকায় নাম লেখাতে চলছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ইবি ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করেছেন শাকিব খান। তার সেই আবেদন গৃহীত হয়েছে। একটি দক্ষ এজেন্সির মাধ্যমে শাকিব খান আবেদনটি করেছেন। যেখানে তার সবকিছু দেখাশোনা করছেন আমেরিকাপ্রবাসী নেপালি এক উকিল। শাকিবের আবেদন সবুজ সংকেত পাওয়ায় এই উকিল প্রত্যাশা করছেন শিগগির তার মক্কেলের হাতে আমেরিকার গ্রিন কার্ড পৌঁছে দিতে পারবেন।’
এদিকে , প্রকাশ হওয়া খবরে শাকিব খানের ‘গুলুই’ সিনেমার প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরুর ভাষ্য, ‘শাকিব আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করেছেন। যে কারণে তাকে ছয় মাস সেখানে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে এক মাস হয়েছে। যদি সব ঠিকঠাক থাকে তাও মিনিমাম আরও চার মাস তাকে সেখানে থাকতে হবে।’ এর আগেও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আমেরিকার ভিসা চেয়েছিলেন শাকিব খান। কিন্তু বারবার ভিসার সেই আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। অবশেষে তিনি আমেরিকায় গিয়েই সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেছেন। এদিকে আমেরিকায় স্থায়ী হওয়ার কথা ভাবছেন শাকিব এ খবর সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে বেশ ধাক্কা দিয়েছে। হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন জনপ্রিয় এ নায়ক? তবে কী তিনি নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে অনিরাপত্তায় ভুগছেন?
দীর্ঘদিন ধরে একক রাজত্ব কায়েম করে ঢালিউড মাতিয়ে চলছেন তিনি। বছরে তার ছবিই কিছুটা ব্যবসা করতে পারছে এ মন্দার বাজারে। তবে বছর বছর কমছে হল, বাড়ছে সিনেমা নিয়ে অস্থিরতা। সেই সব বিষয় হয়তো হতাশ করছে শাকিবকে। বয়সও বাড়ছে, শারীরিকভাবেও প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি। একটা সময় তো থামতে হবেই। সেই সব দিক বিবেচনা করে নিজের জনপ্রিয় ইমেজটা ধরে রেখে আড়ালে চলে যেতে চান তিনি। স্থায়ী হতে চাইছেন বিদেশে। অনেকে আবার দাবি করছেন, আমেরিকায় শুটিং করার যে জটিলতা তা কাটাতেই দেশটির স্থায়ী নাগরিকত্ব চাইছেন তিনি। এর আগে বেশ কয়েকবার শুটিংয়ের জন্য আবেদন করেও ভিসা পাননি। হয়তো সেজন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাছাড়া আমেরিকায় থাকা এক পরিচালকের সঙ্গে এরই মধ্যে কয়েকটি সিনেমার ঘোষণাও দিয়েছেন শাকিব। যেগুলোতে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা করবেন তিনি।
বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনের অনেকই রয়েছে যারা দেশ ত্যাগ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এমনকি অনেকেই রয়েছে এই অভিনয় জগতের পেশা ছেড়ে অন্য নানা ধরনের পেশায় নিয়োজিত হয়েছে। বিদেশে স্থায়ী হওয়া তারকাদের তালিকায় এবার নাম লেখালেন শাকিব খান।