Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / International / প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ তরুনী, সহস্রাধিক পুলিশ মাঠে

প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য পুলিশের দ্বারস্থ তরুনী, সহস্রাধিক পুলিশ মাঠে

ভালোবেসে ঘর বাঁধতে কে না চায়! ভালোবাসার মানুষকে নিয়ে ঘর বাঁধার জন্য প্রেমিক-প্রেমিকা অনেক ধরনের কান্ড ঘটিয়ে থাকে। এবার তেমনি একটি কাণ্ড ঘটালেন এক প্রেমিকা। তিনি তার নিজের প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য গণভাবে গর্হিত কাজ করার মিথ্যা গল্প সাজিয়ে পুলিশের নিকট গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ১৯ বছর বয়সী তরুণী বিয়ে করার জন্য এমন কৌশল বেছে নেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুর নামক এলাকায়। আজ (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ১৪ই ডিসেম্বর সেখানকার স্থানীয় গণমাধ্যমকে এমন ধরনের ঘটনা জানিয়েছে নাগপুর পুলিশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার বেলা ১১টার দিকে কালামনা পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। এর পরই ঘটনাটি তদন্তে এক হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মাঠে নামে। এর মধ্যে ছিলেন নাগপুর পুলিশের কমিশনার অমিতেশ কুমারসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারাও। তারা শহরের আড়াইশোর বেশি সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছেন। কিন্তু কোনো সত্যতা মেলেনি।

শেষ পর্যন্ত তদন্তকারীরা এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয় যে, ওই তরুণীর সঙ্গে এমন কিছু ঘটেনি। তিনি গণগর্হিত কাজের মিথ্যা গল্প সাজিয়েছেন। পরে পুলিশের জেরার মুখে তরুণী তার অভিযোগ ফিরিয়ে নেন এবং মিথ্যা বলেছেন বলে স্বীকার করেন। একই সঙ্গে এটাও বলেছেন যে, প্রেমিককে বিয়ে করতেই এ পরিকল্পনা সাজান তিনি।

নাগপুর পুলিশের একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানান, ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য অমিতেশ কুমার যিনি পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি ৪০টি বিশেষ দলকে নির্দেশ দিয়েছেন। যার মধ্যে সব মিলিয়ে ১০০০ এরও অধিক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সমগ্র নগরীর সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভ্যানগুলো চেক করেন এবং সেখানকার ৫০ জনের বেশি ব্যক্তি কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু ওই তরুণী যে বর্ণনা দিয়েছেন তার সাথে এ ঘটনার কোন মিল পাওয়া যায়নি। টানা ছয় ঘন্টা ব্যাপী এই তদন্তে চলমান থাকে।

About

Check Also

বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানিতে বড় পতন

বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানিতে বড় পতন হয়েছে। শুধু আগস্টেই রপ্তানি কমেছে ২৮ শতাংশ। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ভারতের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *