নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে অবশেষে রোববার (১২ ডিসেম্বর) ৫ টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছান সম্প্রতি দেশের ব্যাপক আলচিত একটি একটি নাম ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। আর এ সময়ে গণমাধ্যমের বিষয়টি আগে থেকেই বুঝতে পারেন তিনি, সেহেতু নিজেকে যতটা সম্ভব আড়াল করে রাখার চেষ্টা করেন মুরাদ।
এদিকে বিমান থেকে নামার পরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশের জেরার মুখে পড়েন তিনি।
ট্রানজিট যাত্রী হবার কারণে প্রায় ৩০ মিনিট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে নানা বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে। পরে ভিআইপি গেট দিয়ে বের হতে চাইলেও সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়েন।
বিমান থেকে নামার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আন্তর্জাতিক যাত্রী হবার পরও অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল দিয়ে বের হন মুরাদ হাসান। তড়িঘড়ি করে তাকে নিতে আসা কালো রঙের একটি প্রাইভেটকারে করে উত্তরার দিকে রওয়ানা হন তিনি।
এদিকে জানা গেছে, উত্তরার বেশ কয়েকটি সেক্টর ঘুরে পরে ১ নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কে ১৫ নম্বর বাড়ির একটি ফ্লাটে তার এক নিকটাত্মীয়ের কাছে ওঠেন মুরাদ হাসান। এই মুহুর্তে সেখানেই রয়েছেন্ তিনি। তবে বার বার চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলতে পারেনি গণমাধ্যম।
এদিকে করোনার নিয়ম না মেনে কিভাবে তিনি বিদেশ গেলেন, বিমান প্রতিমন্ত্রীর কাছে এমন প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকদের।
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মাহবুবু আলী বলেন, এই বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় দেখবে। তারা এর সদুত্তর দিতে পারবে বলে জানান তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের পর গত ১ ডিসেম্বর ফেসবুক লাইভে জিয়া পরিবার নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে একটি ফোনালাপ ফাঁসের জের ধরে গত মঙ্গলবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ হাসান।