দেশজুড়ে চলমনা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা বিপত্তিতে পড়তে হচ্ছে অনেককে। কখনও হামালার, আবার কখনও হুমকির শিকার হতে হচ্ছে তাদেরকে। আর এ ধরণের সমস্যায় পড়া অধিকাংশই নৌকার বিপক্ষের প্রার্থীরা বলে জানা গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি এবার একটি ঘটনা ঘটেছে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায়।
জানা যায়, ঐ উপজেলার ৩ নং আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতার মেয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে। মেয়ে নৌকার বিপক্ষে দাঁড়ানোয় সাবেক ভাইস চেয়াম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা বাবাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) নোটিশ হাতে পেয়েছেন পুহ্লাঅং মারমা। তিনি রোয়াংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
নোটিশ থেকে জানা গেছে, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে আলেক্ষ্যং ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হবে। এই ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে পরাজিত করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার কারণ জানতে চাওয়া হয় নোটিশে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা পুহ্লাঅং মারমা বলেন, গতকাল শনিবার জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। নোটিশের জবাব শিগগিরই দেব।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট। মেয়ে চেয়ারম্যান পদে নিবার্চন করলেও আমি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মীপদ দাশ বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পুহ্লাঅং মারমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরপর নোটিশের জবাব পেলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাশৈখিং মারমা ওরফে মিলিপ্রু বলেন, চেয়ারম্যান পদে লড়ছি। এ জন্য সবার দোয়া কামনা করছি। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় বাবাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বাবা তো আমাকে নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতা করছেন না। বরং আওয়ামী লীগের পদ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন করার অধিকার সবার আছে। কেন আমার সঙ্গে এত ষড়যন্ত্র? নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয় কি না সন্দেহ করেন তিনি।
এদিকে এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা সংঘর্ষের কবলে পড়তে হয়েছে নৌকার বিপক্ষে থাকা অনেককে। এমনকি এ ঘটনার এখনও কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। তাই সরকারের প্রতি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।