অশালীন এবং শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। এমনকি তিনি হারিয়েছেন তার সকল পদ-পদবি। এবং এবার সকল পদ-পদবি হারিয়ে দেশ ত্যাগ করে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। তবে দেশটিতে প্রবেশের সুযোগে মেলেনি তার। এবং তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে দুবাইয়ে।
ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় প্রবেশ করতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। তাকে টরেন্টোর পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইটে দুবাইতে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। নারীর প্রতি অশোভন মন্তব্য করে বিতর্কিত হওয়া সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ১.৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। পরে বাংলাদেশে নারীদের হয়রানি, অপমান এবং নি/র্যা/ত/নের কারণে তাকে ইমিগ্রেশন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও সংবাদ এর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি কী কারণে কানাডায় এসেছেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। এ সময় কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হন ডা. মুরাদ। তার সরকারি ও ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জটিলতার বিষয়েও কানাডা ইমিগ্রেশন জানতে চাইলে কোনো সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তাকে কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে পুনরায় দুবাইয়ে ফেরত পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, অবশ্যে গত সেপ্টেম্বর মাসে ডা. মুরাদ হাসান সরকারি সফরে কানাডার ৫ টি অঙ্গরাজ্যে সফর করেন এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সভায় অংশ নেন। তিনি এই সফরকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।