বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা অভিনেতা আবুল হায়াত। যিনি অভিনয়ের পাশাপাশি একজন লেখক হিসেবেও বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। সিনেমার পর্দায় যে কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে রীতিমতো রুখে দাড়াতে দেখা যায় তাকে। তবে বাস্তব জীবনেও এর প্রতিচ্ছবি দেখা যায় তার ওপর। আর এরই জের ধরে এবার আবরার ফাহাদের ঘটনা নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন এই তারকা।
আবুল হায়াত বলেন, অন্যায়ের বিচার তো করতেই হবে, এটা অবধারিত। অন্যায়ের বিচার না করলে অন্যায় বেড়ে যায়, এটা আমরা জানি। সে হিসেবে বলব, দ্রুততার সঙ্গে রায় হয়েছে, যা পজিটিভ সাইড।
এভাবেই প্রতিত্রিুয়া জানালেন একটি নাটকের শুটিং থেকে আবুল হায়াত।
বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক ছাত্র, অভিনেতা, নাট্যকার ও লেখক আবুল হায়াত। ২ বছর পর যখন আবরার হত্যার বিচারের রায় হয়, তখন তিনি ছিলেন একটি নাটকের শুটিংয়ে।
তিনি বললেন, অপরাধীর শাস্তি হলে অন্য অপরাধীরা সাবধান হবে। এরপর কোনো অপরাধ করার আগে দশবার চিন্তা করবে। যখন দেখে যে বিচার হয় না, তখন অপরাধীদের সাহস বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, খারাপ লাগছে এই ভেবে যে আবরার হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একটা পরিবারের আশা-ভরসা, স্বপ্ন—সব ধুয়েমুছে চলে গেছে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরও ২৫ জনের জীবন, তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে গেল। এটা সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার।
আবুল হায়াত বলেন , আমি জানতে চাই, এর জন্য দায়ী কারা? তাদের তো কোনো বিচার হলো না। কারা তাদের উদ্বুদ্ধ করেছে এ ধরনের অপকর্ম করতে, অপরাধ করতে, সেটার তো কোনো ইনভেস্টিগেশনও হলো না। এই ছেলেগুলো যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে এসেছিল, বাবা-মায়ের স্বপ্ন নিয়েই এসেছিল। বাবা-মায়ের দুঃখ–কষ্ট যদি থেকেও থাকে, তারা সেখান থেকে তাদের আলো দেখাবে, এমন স্বপ্ন নিয়েই এসেছিল। তারা তো ক্রিমিনাল হিসেবে কেউ আসে নাই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাহলে তাদের ক্রিমিনাল বানাল কে? তাঁদের উদ্বুদ্ধ করল কে বা কারা এই ধরনের একটা নিকৃষ্টতম কাজ করতে। এসব প্রশ্নগুলো থেকেই যাচ্ছে।
এদিকে বছর দুই আগে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নির্মম নিযাতনে প্রাণ হারাণ আবরার ফাহাদ। পরবর্তীতে এ ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আবরারের বাবা।