সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অ/শ্লী/ল অডিও এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভ্যপক সাড়া ফেলেছে। এই অডিও এবং ভিডিওকে ঘিরে বির্তকের সম্মুখীন হয়েছেন তিনি। এমনকি তথ্য প্রতিমন্ত্রী পদ হারিছেন তিনি। তবে এবার উচ্চ আদালত তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অ/শ্লী/ল অডিও এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে একদিনের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের অ/শ্লী/ল অডিও-ভিডিও অপসারণ করতে বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অডিও-ভিডিও সরাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা আগামীকালের মধ্যে আদালতে জানাতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। এদিন সকালে ডা. মুরাদ হাসানের অ/শ্লী/ল অডিও-ভিডিও অপসারণ করতে আদালতের দ্বারস্থ হন ব্যারিস্টার সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন আদালতে বলেন, জরুরিভিত্তিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর অ/শ্লী/ল অডিও-ভিডিওগুলো অপসারণ করা প্রয়োজন। অপসারণ না করলে অল্প বয়সের ছেলেমেয়েরা এই ধরনের গালাগালি এবং অ/শ্লী/ল কথা বার্তা শুনে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তাই প্রতিমন্ত্রীর অ/শ্লী/ল অডিও-ভিডিও দ্রুত সরাতে বিটিআরসির প্রতি নির্দেশনা প্রার্থনা করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করে দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়া তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বক্তব্যকে ঘিরে বেশ ক্ষেপেছে বিএনপি দল। মূলত বিএনপি দলের ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা জাইমাকে ঘিরে অ/শ্লী/ল বক্তব্যকে ঘিরে ক্ষিপ্ত হয়েছে বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা। এমনকি তার পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ডা. মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপি দল।