আলোচনা-সমালোচনার ঝড়ে ভাসছে ডা. মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়ার নির্দেশ মুরাদ হাসান এর পদত্যাগ এর খবর এখন যেন নতুন আলোচনার বিষয়। বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। যারা কথা বলছিলনা তারাও যেন এখন চুপ নেই। এত কিছুর মাঝে আবারও আলোচনার শীর্ষে নতুন একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর)’র মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুরাদ হাসান ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সম্প্রতি বরখাস্ত মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলম। পেছনের আসনে বসে আছেন মুরাদ হাসান। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে শেয়ার করছেন নেটিজেনরা।
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বলছেন, মুরাদ ও জাহাঙ্গীর যে মোটরসাইকেলটিতে চড়েছেন, সেটি বাংলাদেশে চালানোর অনুমতি নেই। এটি অবৈধভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়া চালক ও যাত্রী কারও মাথায় হেলমেট নেই। যা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। ছবিটি প্রসঙ্গে জানা যায়, এটি প্রায় এক বছর আগে তোলা ছবি। ডা. মুরাদ গাজীপুরে গেলে তৎকালীন মেয়র জাহাঙ্গীর তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মোটরসাইকেলে করে ঘুরিয়ে দেখান।
এর আগেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে নিয়ে গাজীপুরের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম মোটরসাইকেল ছুটছেন এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ একটানা তৃতীয় বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে। তৃতীয়বার ক্ষমতা এসে সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পাঁচ মাসের মাথায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ্য থেকে সরিয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়ে ডা. মুরাদ হাসান ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘অবমাননাকর’ ও ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করে বিতর্কিত হয়েছেন।
সর্বশেষ চলচ্চিত্র অভিনেতা ইমন ও অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সাথে আলাপচারিতার ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর সমালোচনা হচ্ছে। এরমধ্যেই তাকে পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে আওয়ামী লীগ থেকে আজীবন বহিষ্কার হন গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। পরে তাকে মেয়র পদ থেকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
একের পরে এক যেন মুরাদ ইস্যু কিছুতেই কমছে নেট দুনিয়া থেকে। একটার পর একটা সমালোচিত খবর ফাঁস হচ্ছে তার। একটা বিষয় আলোচনার শীর্ষে উঠতে না উঠতেই যেন আর একটা বিষয় উঠে আসছে উপরে। তবে এর শেষ কোথায় নাকি আরো কিছু দেখার বাকি আছে! সেটা জানার জন্য হয়তো আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।